সাতক্ষীরায় সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সোহেলউদ্দিনের(৩৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল)শহরের রাজারবাগান এলাকায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সামনে একটি কোচিং সেন্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।
নিহত সোহেল উদ্দিন শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের সোনামুগারি গ্রামের ও ভুরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক মো. এমদাদ আলী গাজীর ছেলে ও বিসিএস ৩৪ তম ব্যাচের শিক্ষা ক্যাডার।
ইউসিবি ব্যাংক ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা বর্তমানে নবাবপুর শাখার দায়িত্বে থাকা মাসুম বিল্লাহ বলেন, শুক্রবার বিকেলে মামার গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরে যাওয়ার কথা ছিল। অচেতন অকস্থায় পাওয়ার পর সদর হাসাপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তারপর পুলিশ সেখানে যায়। প্রথমে তারা ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করার প্রস্তুতি নিলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
তবে ধর্মীয় কারণে মামার ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। সোহেলউদ্দিনের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
সদর থানার উপপরিদর্শক তন্ময় মোহন্ত বলেন, সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহেলউদ্দিনের মরদেহ পাওয়া গেছে মর্মে তিনি জেনেছেন। তবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাবি , কোচিং সেন্টারে রাবারের দড়ি সিলিং ফ্যানে বেঁধে চোয়ালের এক্সারসাইজ করার সময় তার মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের এক্সারসাইজের প্রচলন নেই বলে বিষয়টি কিছুটা সন্দেহের উদ্রেক করে। পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু জিহাদ মো. ফকরুল আলম খান জানান, শনিবার বিকেলে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সোহেলউদ্দিনের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যা সম্পর্কে কোন আলামত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমি/দীপ্ত