রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার পথে দ্বীপিতা চাকমা (২৫) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অপহৃত দ্বীপিতা চাকমাকে উদ্ধারের পর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণে জড়িত একজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তির নাম দানপ্রিয় চাকমা (২৫)। সে সাজেক ইউনিয়নের দাড়িপাড়া গ্রামের অনিল কুমার চাকমার ছেলে। দ্বীপিতা চাকমাকে অপহরণের পর মোটর–সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় এই দানপ্রিয়। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর আবু তৌহিদ জানান, গতকাল (বুধবার) দ্বীপিতাকে উদ্ধারের পর রাতে দানপ্রিয় নামে একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। দানপ্রিয় অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার তদন্ত চলছে। অপহরণে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আটক দানপ্রিয় চাকমাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার।
এর আগে বুধবার রাতে দ্বীপিতা চাকমার পিতা স্মৃতেন্দু বিকাশ চাকমা ২/৩জন তার মেয়ে দ্বীপিতা চাকমাকে বুধবার দুপুরে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সাজেক থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
উল্লেখ্য : বুধবার সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণের উদ্দেশে ঢাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মারুফ হাসান রুমীর নেতৃত্বে বিভাগের ৩৪ জন শিক্ষার্থী সাজেকের পথে রওনা দেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সাজেকে শিজকছড়া নামক স্থানে শিক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি (চাঁদের গাড়ি) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থামলে হঠাৎ সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী উপস্থিত হয়ে গাড়িতে কোনো পাহাড়ি শিক্ষার্থী আছে কি না, তা জিজ্ঞাসা করে ও নিরীক্ষণ করে।
এসময় পাহাড়ি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি টের পেয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তারা দ্বীপিতা চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে রাঙামাটি জেলা পুলিশের একাধিক টিম।
অপহরণের ৬ ঘণ্টা পর দ্বীপিতাকে সাজেক থানার দাড়িপাড়া বুনো আদম নামক স্থান থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে সাজেক থানা পুলিশ। দ্বীপিতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাসিন্দা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭–১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে সে একই বিভাগের স্নাতকোত্তরে (মাস্টার্স) অধ্যয়নরত আছেন।
মিশু দে/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ