বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে রাজধানীর মিরপুর–১০ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ। দীর্ঘ চিকিৎসার পর গত ১৪ আগস্ট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সাজিদের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার একটাই ছেলে ছিল। আন্দোলনে যাওয়ায় তাকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।‘
তিনি আরও বলেন, ‘সাজিদ সবসময় বলত— মা, বাঁচলে বীরের মতো বাঁচব, আর মরলে বীরের মতো মরব।‘
সাজিদের বড় বোন ফারজানা বলেন, ‘আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। তাদের এই আত্মত্যাগের মূল্য যেন দেশের মানুষ এবং অন্তবর্তীকালীন সরকার রাখে। সাজিদকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি চাই।‘
একই দাবি তুলে এলাকাবাসীরাও জানান, সাজিদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশ যেন দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। ভবিষ্যৎপ্রজন্মের কাছে সাজিদের অবদান তুলে ধরতে এবং তার স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
শহীদ সাজিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি করেছেন-
বোরহান উদ্দিন
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা