লম্বা সময় ধরে নিজ দলকে চাপে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্পিনারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি। তার মতে বাংলাদেশী স্পিন নৈপুন্যেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ১৫০ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে সাউদি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। তবে আমি মনে করি, আপনাকে আগে দেখতে হবে বাংলাদেশের বোলাররা কিভাবে লম্বা সময় ধরে আমাদের উপর চাপ ধরে রেখেছে। আমরাও তা করেছি, কিন্তু সেটি লম্বা সময় ধরে করিনি। তারপরও ব্যাটারদের কাছ থেকে বড় জুটির প্রত্যাশা ছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি শান্ত একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন এবং সত্যিই ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়পযোগী ইনিংস খেলেছে সে। আমাদের অনেক কিছু দেখার আছে। এটি থেকে শিক্ষা নিয়ে দল হিসেবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে আমরা কিছু দিন সময় পাচ্ছি।’ নিউজিল্যান্ড ভাল করেই জানতো উইকেট হবে স্পিন সহায়ক। তারপরও দলে অতিরিক্ত স্পিনার নেয়নি তারা। উল্টো পেস বোলিং আক্রমনকে শক্তিশালী করেছে। এজন্য কোন আক্ষেপ নেই সাউদির।
তিনি বলেন, ‘আমার কোন আক্ষেপ নেই (একাদশ নিয়ে)। আমি মনে করি, আপনি কন্ডিশন বিবেচনা করবেন, হাতে পাওয়া দলটি দেখবেন এবং আপনি দলের সেরা একাদশই বাছাই করেছেন। বোলিং গ্রুপের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন অসাধারণ পারফরমেন্স করেছে কাইল জেমিসন। শেষ সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ইশ সোধি। দলের ও বিশে^র অন্যতম সেরা বোলার আজাজ প্যাটেল। তাই আমি মনে করি, টেস্ট শুরুর আগে আপনি এসব দেখবেন এবং জয়ী হওয়ার মতো শক্তিশালী দল বেছে নিবেন।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাবার পরই টেস্ট সিরিজ খেলতে নামে নিউজিল্যান্ড। এজন্য সিরিজের আগে বিশ্রামের কোন সুযোগ ছিল না কিউই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের। কিন্তু হারের জন্য এটিকে কারন হিসেবে দাঁড় করাতে রাজি নন সাউদি।
তিনি বলেন, ‘দলে বেশ কিছু নতুন ছেলে এসেছে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছে তারা। এদের মধ্যে তিন–চারজন এখানে ছিলো। বিশ্বকাপের পর আমরা কিছু দিনের বিরতি পেয়েছি। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে আমি মনে করি, এটি একটি ব্যস্ত সূচী। আপনি জানেন আপনার সামনে কি আছে, এজন্য আপনি যতটা সম্ভব নিজেকে সতেজ রাখার চেষ্টা করছেন। এর আগে ছেলেরা খোশ মেজাজে ছিলো। কারও কারও জন্য এটি একটি দীর্ঘ সফর। কিন্তু এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হবার একটি ধাপ।’
আরও পড়ুন: তাইজুলের ঘূর্ণিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টাইগারদের ইতিহাস
আল/ দীপ্ত সংবাদ