সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। তাই এই আইন কোনো মতেই বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে প্রয়োজন হলে আইনটি সংশোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত এক সেমিনারে যোগ দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছিল। সেটা আমরা স্বীকার করে এ বিষয়ে কী পরিবর্তন আনা যায় সেটি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা এখনও চলমান আছে। সেখান থেকে একটা টেকনিক্যাল নোট এসেছে, আমরা সেটি পরীক্ষা করছি।‘
পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রথম আলোর সাংবাদিককে গ্রেপ্তার এবং র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন‘ রদ করার দাবি যখন তুঙ্গে তখন পুলিশ প্রধানের সাথে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রীর দাবি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রস্তাব অযৌক্তিক।
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে একটা পদ্ধতি গ্রহণ করা (উদ্যোগ নেওয়া) হয়েছে। বিগত ১৪ মার্চ তারিখে সুধীজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। ৩০ মার্চ আবারও বসার কথা ছিল, তবে তা স্থগিত করা হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এ বিষয়ে পুনরায় বসা হতে পারে। সুধীজনরা ডাটা প্রটেকশন আইন এবং এনজিও ভলেন্টারি আইনের কথাও বলেছেন। ওই বৈঠকে এসব নিয়েও আলোচনা হবে।‘
‘দেশের কোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি; মামলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অপরাধের বিরুদ্ধে‘, যোগ করেন তিনি।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ