গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার আসামি মো. স্বাধীন।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের এসব তথ্য জানান র্যাব–১–এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ মামুন খান চিশতী।
তিনি বলেন, ‘চক্রের নারী সদস্য বাদশাহ নামে এক ব্যক্তিকে বিরক্ত করছিলো, তাই বাদশাহ সেই নারীকে আঘাত করে। এ ঘটনার পর চক্রের বাকী সদস্যরা বাদশাহকে ছুড়ি নিয়ে দৌড়াতে থাকে। বিষয়টি দেখে ভিডিও করছিলো তুহিন। চক্রের সদস্যরা ভিডিও করা দেখে ফেলায় তার ওপর হামলা করে।’
এসপি মামুন খান চিশতী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও আসামি স্বীকারোক্তি থেকে প্রাথমিকভাবে হত্যার এটাই কারণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও ভালোভাবে বিষয়টি জানা যাবে।
এর আগে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে ৪ জন ও পরে ৩ জন অথ্যাৎ সরাসরি জড়িত মোট৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁরা হলেন— মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন ও মো. স্বাধীন, শাহজালাল (২৫) মো. ফয়সাল হাসান (২৩) ও সুমন (২৬)।
উল্লেখ্র, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮)-কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন।
এসএ