মাথাব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনেকেই সামন্য মাথাব্যথা হলেই ওষুধ সেবন করেন। ফলে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া–মুক্ত আকুপেশার (Acupressure) পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে বাসায় বসে সহজেই সঠিক পয়েন্টে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ করলে আপনি মাথাব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন।
আসুন, জেনে নেয়া যাক মাথাব্যথা সারাতে কয়েকটি কার্যকর আকুপেশার পদ্ধতি।
১. লিও কো পয়েন্ট (LI4 – Hegu Point)
অবস্থান: আপনার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনী আঙ্গুলের মধ্যে।
পদ্ধতি: এই পয়েন্টে ৫–১০ মিনিট চাপ দিন। এটি মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
২. ইয়িন ট্যাং পয়েন্ট (Yintang Point)
অবস্থান: দুই ভ্রুর মধ্যবর্তী স্থান।
পদ্ধতি: দুই ভ্রুর মাঝে আলতোভাবে চাপ দিন এবং বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। এটি সাইনাসের ব্যথা এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. জান ঝু পয়েন্ট (UB2 – Zan Zhu Point)
অবস্থান: ভ্রুর অভ্যন্তরীণ প্রান্ত।
পদ্ধতি: দুই ভ্রুর শুরুতে আলতোভাবে চাপ দিন। এটি মাথাব্যথা, চোখের চাপ এবং সাইনাস সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক।
৪. টাই ইয়াং পয়েন্ট (Taiyang Point)
অবস্থান: কানের উপরের অংশ এবং চোখের বাহিরের কোণের মাঝামাঝি।
পদ্ধতি: এই পয়েন্টে আলতোভাবে চাপ দিন এবং বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। এটি মাইগ্রেন এবং মাথাব্যথা নিরাময়ে কার্যকর।
৫. ফেং চি পয়েন্ট (GB20 – Feng Chi Point)
অবস্থান: মাথার পিছনে, কেশের প্রান্তের ঠিক নিচে, গলার দুই পাশে।
পদ্ধতি– এই পয়েন্টে দুই হাতে আলতোভাবে চাপ দিন এবং কয়েক মিনিট ধরে রাখুন। এটি মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, এবং ঘাড়ের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
পরামর্শ ও সতর্কতা
১. আকুপেশার করার সময়, প্রতিটি পয়েন্টে ৫–১০ মিনিট চাপ দিন এবং প্রতিদিন ২–৩ বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
২. যদি আপনি অন্তঃসত্ত্বা হন বা কোনো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে আকুপেশার শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. আকুপেশার করার সময়, হাত পরিষ্কার রাখুন এবং সংবেদনশীল বা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
এমবি/এসএ/দীপ্ত সংবাদ