করোনা মহামারি ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে বর্তমান সরকার তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে– বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড–১৯ মহামারি, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও চাপ সৃষ্টি করেছে। সরকার এই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।‘
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিকভাবে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এ সময়ে দেশ বিভিন্ন আর্থ–সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯–২০২৩ মেয়াদে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৫৪৩ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪১.৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.৫ শতাংশে থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
সরকার প্রধান বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার পর যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশের মানুষের উন্নয়নে কিছুই করেনি।
গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তিনি দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করেছেন।
দেশে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে বাড়ি বিতরণের কথা জানান।
আফ/দীপ্ত নিউজ