একই স্থানে মসজিদ,মন্দির এবং বৌদ্ধ বিহার। প্রায় ৩০ বছর ধরে কুয়াকাটার এই তিন উপসানলয়ে ধর্মীয় কার্যক্রম চললেও এখন পর্যন্ত ঘটেনি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা। এ যেন সম্প্রীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুয়াকাটার বাসিন্দারা।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের উত্তর পাশে ১৯৯৬ সালে নির্মান করা হয় শ্রী শ্রী রাঁধা কৃষ্ণ মন্দির। এর পাশেই ১৯৯৭ সালে নির্মান করা হয় কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদ। এই দুই উপসানলয়ের প্রবেশ পথ একই। শুধু মাঝখানে ছোট একটি ইটের দেয়াল। এর কয়েক কদম উত্তরে হাটলেই ১৭৮৪ সালে স্থাপিত হয় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার।
একপাশে আজান, অপর পাশে ঢাকীর ঢোল এবং অন্যপাশে ভান্তের বন্দনার আওয়াজ। এভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসলেও এখন পর্যন্ত এই তিন ধর্মালম্বী মানুষের মধ্যে ঘটেনি কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
মসজিদে আজান হলে হিন্দু সম্প্রদয়রা তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। আবার মসজিদ এবং মন্দিরে ধর্মীয় কার্যক্রম চললে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখেন। ক্ষন বুঝে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা বন্দনায় মশগুল হন। মোটকথা একে অপরকে বুঝেই পরিচালতি করছেন ধর্মীয় কার্যক্রম।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বিরল দৃষ্টান্ত টিকে থাকবে আজীবন এমন দাবি স্থানীয়দের।
তিন ধর্মের মানুষের মধ্যে যাতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী সব সময় নজরদারি রাখছে। এই তিন ধর্মের মানুষকে সরকারী পক্ষ থেকেই সহযোগিতা করা হয় বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র।
এমি/দীপ্ত