বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা। গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকার কিছু অংশ, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন সেখানকার গ্রাহকেরা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা যাবে। আমরা চাইলে এখনই ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারি কিন্তু আমরা দেখতে চাচ্ছি কোথায় সমস্যা হয়েছে। ঢাকায় বিদ্যুতের লোড বেশি থাকার কারণে আমরা একটু সময় নিচ্ছি। কারণ হঠাৎ করে লোড দিলে আবারও গ্রিড ট্রিপ করার সম্ভাবনা আছে। এর জন্যই আমরা ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সময় নিচ্ছি।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। এরই মধ্যে সিলেট, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।’
গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে এই গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ জানা যাবে।’
এর আগে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার (জনসংযোগ কর্মকর্তা) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ দুপুর ২টার দিকে যমুনা নদীর পূর্ব পাশ থেকে ঢাকার দিকে আমাদের যে গ্রিড আছে তা ট্রিপ করে গেছে। গ্রিডের এই সমস্যার কারণে ঢাকার কিছু অংশ, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলের গ্রাহকেরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে। আমরা চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি বিদ্যুতের সংযোগ আবারও স্বাভাবিক করতে।’
এ বি এম বদরুদ্দোজা আরও বলেন, ‘গ্রিড ট্রিপ করার কারণ এখনো অনুসন্ধান করা যায়নি। আমরা আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরিয়ে আনার কাজ করছি।’
তবে অবস্থা স্বাভাবিক হতে কতক্ষণ লাগতে পারে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বৈদ্যুতিক গ্রিড ট্রিপ করার অর্থ হলো কোনো কারণে সরবরাহ লাইনের কোথাও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন: ওভার লোড, শর্টসার্কিট, ওভার ভোল্টেজ, কারেন্ট ইমব্যালেন্স, গ্রাউন্ড ফল্ট ইত্যাদি। তবে অন্য একাধিক কারণেও এ সমস্যা হতে পারে—স্টেজড বা প্রিফারেনশিয়াল ট্রিপ বা লোডশেডিং এবং ইন্টার ট্রিপিং বা দূরবর্তী কোনো ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।