বরাবরই বাচ্চারা পড়ালেখার চেয়ে খেলাধুলায় আগ্রহী বেশি থাকে। তাই খেলার ছলেই সন্তানকে পড়ালেখায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।
কোনো ভাবেই বাচ্চাদের উপর পড়ালেখার জন্য চাপ দেওয়া যাবেনা। এতে করে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।বাচ্চার যখন ৪–৫ বছর বয়স তখন থেকেই তাকে খেলার ছলে কবিতা,স্বরবর্ণ,ব্যাঞ্জনবর্ণ শোনানো,এই বয়সের বাচ্চারা শুনতে পছন্দ করে। সন্তানের ৬ বছর হলে তাকে অবশ্যই একটি স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে। কারন সন্তানের স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস করা গুরুত্বপূূর্ণ। সন্তানের আগ্রহ বাড়াতে অভিভাবকের নানা ধরনের কৌশল খুজে বের করতে হয়। জেনে নেওয়া যাক সহজ কার্যকর কিছু উপায়–
পড়ালেখার জন্য আগ্রহের মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে পড়ার টেবিল। ছোট থেকে বড় সবাই তাদের পড়ার স্থানটি পরিপাটি দেখতে পছন্দ করেন। তাই পড়ার টেবিলটির প্রতি যত্নশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ন। শিশুর পড়ার টেবিলে তার পছন্দের জিনিস রাখুন যাতে করে পড়ার টেবিলের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হয় ।যেমন ফুলদানি, একটি মামপট, রং পেনসিল, খেলনা রাখা যেতে পারে। তাই সন্তানের পড়ার টেবিল সাজিয়ে গুছিয়ে রাখুন। এর ফলে মেধা বিকাশ ও সহজে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি করে।
বাচ্চারা বিভিন্ন জিনিস আকতে ও রং করতে পছন্দ করে।রঙিন জিনিসের প্রতি সভাবতই বাচ্চাদের আগ্রহ বেশি থাকে। তার পছন্দের কার্টুনের ছবি লাগানো ব্যাগ, খাতা ও রং পেনসিল বক্স,ড্রয়েইং বুক। এর পাশাপাশি বাচ্চাকে তার প্রিয় খেলনা উপহার দিন। এরফলে সে ভাববে পড়ালেখা করলে পছন্দের খেলনা পাওয়া যাবে।বাচ্চার কাছে পেন্সিল দিতে হবে এতে করে সহজে কলম ধরা নিজে নিজেই শিখে যাবে,নিজের মতো করে ছবি আঁকবে এর ফলে বাচ্চার মেধা বিকাশে সহায়তা করবে।
তাদের খেলার জন্য সময় দিতে হবে যাতে করে তারা একঘেয়ামি অনুভব না করে।মাঝে মাঝে শিশুপার্ক বা পছন্দের কোনো জায়গায় ঘুরতে নিতে হবে।প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ছোটাছুটি করে খেলা করলে ঘাম ঝরবে। ফলে শরীরে এনডরফিন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হতে থাকে। এর পরেই বাচ্চাকে পড়াতে বসালে প্রথম ঘণ্টাখানেকের পড়ায় ওর পুরো মনোযোগ থাকবে।
এখন প্রচুর ইন্ডোর গেমস, বই পাওয়া যায়, যা বাচ্চার কগনিটিভ স্কিল বাড়ায়। যেমন নানা ধরনের অ্যাকটিভিটি বুক, বিল্ডিং ব্লকস, পাজলস ইত্যাদি। স্মার্টফোনের বদলে এই ধরনের খেলা বা বই ওর হাতে তুলে দিলে মনোযোগের সমস্যা অনেকটাই কমে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন ভাবেই মোবাইল ফোনের আসক্তি না হয়।
ঘুমানোর আগে কিছুটা সময় গল্প শোনানো অভিনয় করে গল্প বললে তাদের আগ্রহী করা যাবে। বাচ্চাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে হবে। এতে তাদের ধৈর্য ধরে শোনার প্রবণতাও তৈরি হয়। মনোযোগ বাড়াতে গল্প শোনানোর ভূমিকা অনেক।তাদেরকে সবসময় হাসিখুশি রাখতে হবে। রাগারাগি করলে তাদেরকে নিষেধ করা কাজ বেশি করতে চাইবে। তাই আনন্দ দিয়ে তাদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।
অনু/দীপ্ত