সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ জনগণ। জলাবদ্ধতা, যানজট ও রিকশাচালকদের অস্বাভাবিক ভাড়া নগরজীবনে বাড়তি ভোগান্তি যোগ করেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সারাদেশে, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বুধবার (২৮ মে) বিকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘলা ভাব থাকলেও রাতেই কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয় ঠাণ্ডা বাতাস, যা মানুষের দৈনন্দিন চলাচলে বেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি বলেন, “রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।”
বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পুরান ঢাকা, শান্তিনগর, মালিবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গাবতলী ও ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকায় বাস, রিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহনের গতি ছিল ধীর। অফিসগামী মানুষ সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেয়েছেন। রিকশাচালকরা বৃষ্টির সুযোগে বাড়তি ভাড়া হাঁকিয়েছেন। অনেক জায়গায় দেখা গেছে ছাতা হাতে হেঁটে যাচ্ছে মানুষ।