একজন সংসদ সদস্যের অন্যতম কাজ আইন প্রণয়ন বা এতে সহযোগিতা করা। কিন্তু এই সংসদ সদস্য হতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতার নেই কোন মাপকাঠি।
ফলে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা স্বত্ত্বেও অনেকে এমপি হচ্ছেন। যা নিয়ে সুশীল সমাজের বিরোধিতা থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে শিথিলতা।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৮ বছরের যেকোন বাংলাদেশি নাগরিক নির্বাচন করার যোগ্য। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী শিক্ষাজ্ঞানসম্পন্ন বাংলাদেশি নাগরিক হলেই সংসদ সদস্য হওয়ার অধিকার রাখেন। অর্থাৎ একজন সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীর নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না।
বেসরকারি সংস্থা সুজন–এর তথ্য মতে, একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ জন সাংসদের ৮০ দশমিক ৯৩ শতাংশের বা ২৪২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দশম জাতীয় সংসদে এই হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে, অন্তত ৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এসএসসি ও তার কম। আবার কিছু সংসদ সদস্য মনোনয়নপত্রে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন।
সংসদ সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টির নির্ধারিত মানদণ্ড থাকা উচিৎ বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ।
সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার সংজ্ঞায় শিক্ষা ক্যাটাগরি না থাকায় দলীয় সমর্থন নিয়ে অনেকেই হচ্ছেন আইন প্রণেতা। আবার অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিও ভোট করতে চাইছেন বা করছেন।
আল/ দীপ্ত সংবাদ