আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২১০টি সংস্থা ভোট পর্যবেক্ষণ করতে চায়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনে ইসি আবেদন করেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী স্থানীয় সংস্থাগুলো নিবন্ধন পেতে চায়। যাচাই–বাছাইয়ে যোগ্য বিবেচিত হলে নিবন্ধিত সংস্থাগুলো আগামী পাঁচ বছরের জন্য সংসদ ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইসির আইন শাখার যুগ্ম–সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন যাচাই–বাছাই কমিটির সভা হয়েছে।
ইসির জনসংযোগ সহকারী পরিচালক জানান, বিদ্যমান নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ১১ জুলাই। সেক্ষেত্রে ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত কার্যক্রম শেষ হবে আশা করা যায়। নির্বাচন কমিশন এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে যে কোনো দিন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করবে।
সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে ১১৯টি সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন। ইসি কর্মকর্তা জানান, নিবন্ধন চেয়ে আবেদনের নির্ধারিত যোগ্যতার পাশাপাশি গত পাঁচ বছর (২০১৮ থেকে ২০২২ ডিসেম্বর) ধরে যারা নিবন্ধিত হয়েও কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি, তাদের আবেদন বাতিল হবে। তবে যেসব সংস্থা ২০১৮ সালে নিবন্ধিত হতে পারেনি, কিন্তু মেয়াদ থাকাকালীন কোনো সংসদ ও স্থানীয় সরকারের সাধারণ বা উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকলে আবেদনযোগ্য বিবেচিত হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে একটি সমন্বিত সাংবাদিক নীতিমালা খসড়া প্রস্তুতির কাজ চলছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পরিকল্পনাও রয়েছে।