কাতার বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে আজ মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। দুটি করে বিশ্বকাপ জেতা এই দুই দলের ম্যাচ, শিরোপার লড়াইয়ের পাশাপাশি, ইউরোপ বনাম লাতিন ফুটবলেরও দ্বৈরথ। লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়।
সত্যিকার অর্থেই শিরোপা ঘরে তুলতে নিজেদের সেরাটা দেবে যে দল; বিশ্বকাপের সোনার ট্রফি তাদেরই প্রাপ্য। ৩২ দেশের ৬৪ ম্যাচের লড়াইয়ের পর শেষ হাসি তো তাদেরই মানায়। এক আসর পর আবারো শিরোপার লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটনোর দায়িত্ব অনেকটাই ৩৬ বছর বয়সী লিওনেল মেসির কাঁধেই। বিশ্বমঞ্চে আর দেখা যাবে না ক্ষুদে জাদুকরকে। সময়ের সেরা এ তারকা রয়েছেন রীতিমতো ঈর্ষণীয় ফর্মে। পাঁচ গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন আরও তিন গোল। তবে শেষ লড়াইয়ের আগে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ায় চিন্তার ভাঁজ সমর্থকদের কপালে।
অবশ্য, আসরে খুব বেশি বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি দুইবারের বিশ্বসেরাদের। যদিও প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের মতো দলের কাছে হেরে বেকায়দায় পড়েছিল আর্জেন্টিনা। এরপরই দুর্দান্ত অগ্রযাত্রা। সেমিফাইনালের আগেই ব্রাজিল বিদায় নেওয়ায়, সবশেষ ম্যাচেও অনেকটা একপেশে জয় পেয়েছেন মেসি-আলভারেজ, মার্টিনেজরা।
পরিসংখ্যানও কথা বলছে মেসিদের হয়েই। বারোবারের দেখায়, আর্জেন্টিনার ছয় জয়ের বিপরীতে ফরাসিদের জয় তিনটি। ড্র হয়েছে তিন ম্যাচ।ফিফা বিশ্বকাপে ৩ বারের দেখায় আর্জেন্টিনার জয় দুটি। ফরাসিরা জয় পায় একবার।
তবে, মাঠের লড়াই আর পরিসংখ্যান সবসময় এক থাকে না। আর্জেন্টিনার একজন লিওনেল মেসির বিপরীতে ফরাসিদের আছে কিলিয়েন এমবাপ্পে। মাত্র দ্বিতীয় আসর খেলতে নামা এই তরুণ, এরইমধ্যে করে ফেলেছেন নয় গোল।
কেবল এমবাপ্পে নন, ফ্রান্সের শক্ত আক্রমণভাগে রয়েছেন গ্রিজম্যান, ডেম্বেলে, অলিভার জিরুদের মতো নক্ষত্র। এর ওপর শেষ ম্যাচের আগে চোট সেরে ওঠা করিম বেনজেমাকেও মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য সদ্য ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকার খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি তাদের টিম।