টানা তিন হারের পর শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখাল জিম্বাবুয়ে। সেই সাথে তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদেরকে সমতায় আনল দলটি। রাজা–ইভান্সের বোলিং তোপে মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। সহজেই এই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। ৩৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই কুশল মেন্ডিসকে শিকার করে শুরুটা করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ১৭ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট, পাথুম নিসাঙ্কাকে শিকার করেন ব্রাড ইভান্স। ২৪ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট, আবারো আঘাত হানেন মুজারাবানি। বিদায় নেন নুয়ানিন্দু ফার্নান্দো।
পরের ওভারেই কামিল মিশারাকে বোল্ড করেন ইভান্স। সিকান্দার রাজাও বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই কামিন্দু মেন্ডিসকে শিকার করেন রাজা। ৩৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
তারপর ২৬ রানের জুটি গড়েন দাসুন শানাকা ও চারিথ আসালাঙ্কা। শানাকাকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন শেন উইলিয়ামস। শানাকার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে মাত্র ১৫ রান। পরের ওভারেই বিদায় নেন আসালাঙ্কাও। লঙ্কান অধিনায়ককে বোল্ড করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রাজা। আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১৮ রান। একই ওভারে দুশমান্থা চামিরাকেও আউট করে রাজা।
দুশান হেমন্ত রান–আউট হন এবং মাহিশ থিকশানাকে শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে দেন ইভান্স। মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন রাজা ও ইভান্স। রাজা চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। মুজারাবানি নেন দুইটি উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের হয়ে ভালো সূচনা করেছিলেন মারুমানি। তবে ১২ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ২০ রানেই প্রথম দুইটি উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দুইটি উইকেটই নেন চামিরা। ২৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। রাজাকেও বোল্ড করেন চামিরা। ৭ বলে ২ রান করেই বিদায় নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ২৩ বলে ১৯ রান করে আউট হন। ততক্ষণে জিম্বাবুয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। টনি মুনিওঙ্গা ৬ বলে ৩ রান করেই বিদায় নিলেও রায়ান বার্ল জিম্বাবুয়েকে জয়ের পথেই রাখেন। বার্লকে সঙ্গ দেন তাশিঙ্গা মুসেকিয়া। চার হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের জয় নিশ্চিত করেন মুসেকিয়া।
১৪.২ ওভারেই জয় পায় জিম্বাবুয়ে। ৩৪ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে জিম্বাবুয়ের এই রাজসিক জয়। বার্ল ২২ বলে ২০ রানের ও মুসেকিয়া ১২ বলে ২১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়া জিম্বাবুয়ে আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজ বাঁচাতে হলে জিততেই হতো। সেটা দারুণভাবেই পেরেছে তারা। ৩৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।
এ জয়ে তিন ম্যাচের শেষটি তাই অঘোষিত ফাইনাল হয়ে দাঁড়াল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আগামীকাল হারারেতেই।