শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

শ্যামনগর কালিন্দী নদীর বাঁধে ধ্বস

সীমান্তবর্তী কালিন্দী নদীর উপকুল রক্ষা বাঁধে ধ্বস নেমেছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজলার কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর ও কাঠামারী এলাকার মাঝ বরাবার ভেঁড়ি বাঁধে ধ্বস সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ ঐ অংশ দিয়ে পাশের শতাধিক চিংড়ি ঘেরে লবণ পানি ওঠানামা অব্যাহত থাকার কারণে সেখানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপকুূলীয় বাঁধ ছিদ্র করে নদীর লবণ পানি লোকালয়ে প্রবেশে বিধি নিষেধ জারি করেন।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজিমনে যেয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা পাওবো বিভাগ এ() এর ১৫ নং পোল্ডারের কালিন্দী নদীর অংশে বাংলাদেশী প্রান্তের উপকূল রক্ষা বাঁধ ছিদ্র করে ও বাঁধের উপর দিয়ে শত শত পাইপ বসানো রয়েছে। মুলত অভ্যান্তরভাগে গড়ে তোলা হাজার হাজার চিংড়ি প্রকল্প সমুহের জন্য প্রয়োজনীয় লবণ পানির চাহিদা মেটনোর স্বার্থে স্থানয়ীরা চিংড়ি ঘের মালিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাযশে এসব পাইপ স্থাপন করে নদীর লবণ পানি চিংড়ীঘের ও নদীতে উঠানামার কাজ করছে।

কাটামারী এলাকার নুর ইসলাম গাজী চিংড়িঘেরের পাশের পানি নিস্কাশনের স্বার্থে সরকারিভাবে গড়ে তোলা সুঁইচ গেটের পাশের প্রায় ১৫ ফুট বাঁধ নদীতে ধ্বসে গেছে। এসময় নদীতে উচ্চ জোয়ার থাকায় প্রবল বেগে ভাঙন কবলিত ঐ অংশ দিয়ে জোয়োরের পানি প্রবেশ করায় আশা পাশের প্রায় অর্ধ্বশত চিংড়ি ঘের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঘের মালিকের কারনে স্লুইসগেটের পাশে ভেঙে লবণ পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় তারা আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে যেকোন সময় তাদের চাষের জমির ধান ক্ষেতসহ বসবাড়ি পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এসব গ্রামবাসীর দাবি স্থানীয় ঘেরমালিকরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে যোগাযোগ করে রাতের বেলায় বাঁধের নিচে ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে থাকে। পরবর্তীতে ঐ অংশ দিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে তারা বড় আকৃতি নিয়ে সেখান বাঁধ নদীতে ধ্বসে যাওয়ার কারণে পরিনত হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন শনিবার দুপরের দিকে আকস্মিকভাবে কালিন্দী নদীর বাংলাদেশী অংশের বাঁধ ধসের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পানি উন্নয় বোর্ডের কর্মকর্তরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী তম্ময় হালদার জানান, দুপুরের পর থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে, ভাঙন ঠেকাতে। সেখানে থাকা অবৈধ সুঁইট গেট সমূহ অফসারণ করার পর স্থায়ীভাবে মাটির কাজ শুরু হবে।

 

মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More