সোমবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
সোমবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

শ্যামনগর উপকূলে নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

 

বর্ষার শুরুতেই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনীর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত মালঞ্চ নদীর দাতিনাখালী এলাকায় মহসীন সাহেবের হুলো নামক স্থানে বেড়ি বাঁধের ৫ নম্বর পোল্ডারে আকস্মিকভাবে ধ্বস নেমেছে।

গত ২৩ জুন শুক্রবার সকালে প্রায় ২৫২৬ ফুট বাঁধের বাইরের অংশ মালঞ্চ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে বাঁধের ভেতরের মাটিসহ ওপরে বসানো বালুভর্তি অর্ধশতাধিক জিও ব্যাগ নদীতে ধসে পড়ায় এলাকাজুড়ে ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, এই স্থানে প্রায় ভাঙন দেখা দেয়। কয়েক মাস আগে ধসে যাওয়া অংশে মাটি দিয়ের তার ওপর বালুভর্তি জিও ব্যাগ বসায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কিন্তু আবার ও বাঁধের ধস নেমেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই বর্ষার মৌসুমে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তারা আরও বলে, পানি উন্নয়ন বোর্ড যে কি কাজ করে বুঝলাম না। কয়েক মাস পর পর এই ভাঙন দেখা দেয়।

দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা সুমন মন্ডল বলেন, প্রতিবছর নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। ফলে মাছের ঘের, বসতবাড়ি, মিষ্টি পানির পুকুর, গাছগাছালি সহ গবাদিপশু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আর স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পড়ে।

বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের বাসিন্দা হালিমা খাতুন বলেন, সরকার এতো এতো বাজেট দিচ্ছে তাও এই ভাঙন ঠেকাতে পারছে না। কি মেরামত করে যে বার বার ভাঙে। আমরা একটু শান্তিতে বসবাস করতেও পরাছি না। সবসময় ভয়ে থাকি কখন কি হয়।

বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মী জান্নাতুল নাইম বলেন, ‘মাত্র পাঁচ মাস আগে ধসে যাওয়া অংশে কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সংস্কারের সময় কার্যাদেশ অনুযায়ী স্লপ বা ঢাল না রাখার কারণে, সামান্য বৃষ্টিতেই শুক্রবার একটি অংশের মাটিসহ জিও ব্যাগ নদীতে ধসে গেছে। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি অংশেও একই ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তরুণ এই পরিবেশকর্মী বলেন, ‘মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে শ্রমিক সর্দার আইয়ুব ও পাউবোর কয়েকজন কর্মচারী ওই অংশের কাজ সম্পাদন করেছেন। মাটির কাজসহ জিও ব্যাগ প্লেসিং ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে একই অংশে আবার ভাঙনের উপক্রম হয়েছে।

এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। আগে থেকে প্রস্তুতকৃত জিও শিট দিয়ে ধসে যাওয়া অংশ মুড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে পানির ঢেউয়ের আঘাতে অবশিষ্ট অংশের মাটি নদীতে বিলীন হতে না পারে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ভাঙনের বিষয়টি শুনেছি। আমার লোক ওখানে গিয়েছে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

রঘুনাথ খাঁ /আল /দীপ্ত সংবাদ

 

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More