হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের শ্বশুর। খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে; এ নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেন আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সেই পোস্টের নিচে কমেন্ট করেছেন সারজিস আলম। সেখান শ্বশুরের অতিরিক্ত বিচারক হওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
সারজিস আলম লেখেন, আমি যতদূর জানি আমার নিকটাত্মীয় ১৯৯১–৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।ভর্তি পরীক্ষার মার্কসে তিনি ১ম স্থান অধিকার করেন। এসএসসি এবং এইচএসসির রেজাল্টসহ প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে সেই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ১৯তম স্থান অর্জন করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। আইন বিভাগ থেকে LLB ও LLM শেষ করে ১৯৯৮ সালে তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
সার্জিস জানান, ২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ উভয় বিভাগে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের পূর্ব থেকেই তিনি বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সারজিসের দাবি, তার শ্বশুরের শতাধিক জুনিয়র সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত। তাছাড়া তিনি নবগঠিত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ কর্তৃক সব যোগ্যতার শর্ত পূরণ করে যাবতীয় বাছায়ে উত্তীর্ণ হয়ে এই সম্মান অর্জন করেছেন।
সারজিস আক্ষেপ করে লেখেন, এখানে তার এই যোগ্যতা ও পরিশ্রমকে একপাশে রেখে আমার নাম টেনে নিয়ে আসা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে ২৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে ৯ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, ৯ জন আইনজীবী ও ৭ জন আইন কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। রমধ্যে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমানও। সম্পর্কে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের শ্বশুর।
বিচারপতি লুৎফর রহমান এর আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে ওই ২৫ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।