উপমহাদেশসহ দেশের অন্যতম বৃহত্তম কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ঐতিহাসিক এই জামাতে অংশ নেন প্রায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লি।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামাতে ইমামতি করেন ঈদগাহের নতুন ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
ঈদগাহের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্য অনুসারে তিন দফা গুলি ফুটিয়ে শুরু হয় জামাত। জামাত শুরুর ১৫ মিনিটি আগে তিনটি, ১০ মিনিট আগে দুটি এবং ৫ মিনিট আগে একটি শর্টগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত শুরুর সংকেত দেওয়া হয়। প্রথম গুলিটি ছোঁড়েন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।
গুলি ছুঁড়ে জামাতের সংকেত দেওয়ার এই ঐহিত্য বিশ্বের বুকে একমাত্র শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের বলে মনে করা হয়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ শহরকে বেশ কিছু তোরণ ও উৎসব পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, খুব সুন্দরভাবেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদগাহ মাঠের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলেই আমাদের সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্র, প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের আয়তন প্রায় ৬ একর। ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে এক লাখ ২৫ হাজার বা ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।
এসএ