শেরপুরের তিনটি আসনেই জমে উঠেছে নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরের তিনটি আসনেই প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ভোটের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেছে নৌকার প্রার্থীরা। বসে নেই অন্যান্য প্রতীকের প্রার্থীরা। চলছে গণসংযোগ। চলছে পথসভা। এতে ভোট উৎসবের আমেজ ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হচ্ছে।
শেরপুর–১ ও শেরপুর–৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহী ও হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় ভোটের মাঠে বইছে গরম হাওয়া। এদিকে শেরপুর–২,নকলা–নালিতাবাড়ী আসন নৌকার ঘাটি বলে খ্যাত হেভিওয়টে প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। পর পর পাঁচ বার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি এই আসন থেকে। তাই তৃণমূল থেকে শুরু করে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী সমর্থক কাজ করছেন মতিয়া চৌধুরীর পক্ষে। প্রতিদ্বন্দ্বী দু’জন প্রার্থী থাকলেও জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ তারা। তাই নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
দুই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ধারাবাহিকভাবে গত (১৯ ডিসেম্বর) থেকে চলছে নৌকার পথসভা। যা শেষ হবে আগামী ৪ জানুয়ারি । আর এসব পথসভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য দিয়ে ভোট প্রার্থণা করছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। এসব পথসভা নৌকার স্লোগানে মুখর হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নিচ্ছে প্রতিদিন। নৌকা পাগল মানুষগুলো প্রিয় নেত্রীর কথা শুনতে পাগলের মতো ছুটে আসছেন।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের কঠোর পরিশ্রমে নকলা–নালিতাবাড়ী উপজেলায় বেগম মতিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে সরকারের কাঙ্খিত উন্নয়ন ঘটেছে বেশ। তাই এসব পথসভায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছেন নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন: যশোর–৫ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা
মঞ্জুরুল /লিয়ন/দীপ্ত নিউজ