বিপিএলে আচরণ বিধি ভাঙার দায়ে শাস্তি পেলেন তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন- রংপুর রাইডার্সের শেখ মেহেদি হাসান ও নিকোলাস পুরান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোসাদ্দেক হোসেন। এক বিবৃতিতে সোমবার এই তিন ক্রিকেটারকে শাস্তির কথা জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মেহেদীর ঘটনাটা বরিশালকে এলিমিনেটরে বিদায় করে দেওয়া ম্যাচে। ২.২ ধারা ভেঙেছেন রংপুরের এ অলরাউন্ডার, যেটি ক্রিকেট সরঞ্জামের অপব্যবহার। পরে ব্যাটিং করা রংপুরের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ছুটতে ছুটতে হেলমেট খুলে নিতে দেখা যায় মেহেদীকে, তবে এরপর ব্যাট দিয়ে সেটিকে বলের মতো করে মেরে দূরে ফেলে দেন। ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
একই ম্যাচে বিসিবির ‘ক্লোথিং রেগুলেশন’ বা পোশাকের নিয়ম ভেঙেছেন পুরান। বিপিএলে গতকালই প্রথম রংপুরের হয়ে নামেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ককে দেখা যায় ২৯ নম্বর জার্সি পরতে। তবে আগে থেকেই ২৯ নম্বর জার্সি পরা আরেকজন—শামীম হোসেনও একই দলে ছিলেন।
পুরানকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট। এবারের বিপিএলে জার্সিসংক্রান্ত জরিমানা অবশ্য এটিই প্রথম নয়; এর আগে ঢাকা ডমিনেটরসের আমীর হামজা ও মিজানুর রহমানকে ভুল জার্সি পরার পর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
মোসাদ্দেককে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তাদের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। তিনি জার্সির লোগোর নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন। আচরণবিধির ২.২২ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ম্যাচ রেফারির নিয়ামুর রশিদের দেওয়া শাস্তি মেনে নেওয়ায় তার শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
এদিকে ড্রেসিংরুমে ধূমপান করায় শাস্তি পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিং রুমের সামনের অংশে ধূমপান করছিলেন খুলনা টাইগার্সের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। টেলিভিশন ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ায় তার ম্যাচ ফি’র শতকরা ৩০ ভাগ জরিমানার পাশাপাশি, তাকে ২টি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোনো ক্রিকেটার বা টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো সদস্য দুই বছরে চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে, এক টেস্ট বা দুই সীমিত ওভারের ম্যাচে নিষিদ্ধ হন।
আল/দীপ্ত