শুধু লোক বদলে দিলেই দেশ বদলে যাবে না, সিস্টেম বদলাতে হবে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগুন যারা লাগায় বা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, তারা আমাদের অভিন্ন প্রতিপক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানী সেগুনবাগিচায় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে‘ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ৬ষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হেলিকপ্টারের কথা এসেছে। কিন্তু ওই সময় সেখানে হেলিকপটার দেওয়া যেত না। বাতাস লাগলে সেখানে আগুনটা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অনেকেই বলেছেন কাঁদানে গ্যাস কেন দেওয়া হয়নি? সেটাও করার উপায় ছিল না। কারণ তাতেও ফায়ার অ্যাগ্রাভেট (পরিস্থিতিকে আরও তীব্র করা) করার সম্ভাবনা ছিল। সেখানে একমাত্র টার্গেট ছিল যে ২৮ জন (ডেইলি স্টারে) আটকে পড়েছিলেন তাদেরকে কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া বের করে আনা।
তিনি বলেন, যারা আগুন দিয়েছে তারা আমাদের কমন প্রতিপক্ষ। আপনার যদি কারো মত পছন্দ না হয় তাহলে আপনি ভিন্ন মতের কোনো পত্রিকা খোলেন। সেটাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। কিন্তু সেটা না করে একটি প্রতিষ্ঠানে আগুন দিলেন আর মনে করলেন আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে এমন করলে তো হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার হিসেবেও আমরা এই ক্ষতিটা উপলব্ধি করি। এ ঘটনাই আমরা সত্যিই মর্মাহত। এটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।
তিনি আরও বলেন, জুলাইতে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং নিউ এইজ কিন্তু আন্দোলনের খবর ছাপাচ্ছিল। টেলিভিশনের দিকে তাকালে আমরা চ্যানেল টুয়েন্টিফোর এবং যমুনাকে দেখতে পাই।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, যেদিন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি সেদিন থেকেই দেখেছি প্রতিটি মানুষের একটা রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে। কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ বিএনপি বা জামায়াত। এ এক অদ্ভুত অবস্থা। আমাদের যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হয় তাহলে সবার একটা রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও পেশাগত দায়িত্বে এসে সেই মতাদর্শের প্রতিফলন করা যাবে না।
উপদেষ্টা বলেন, পুরোটা ভেঙে যাওয়া একটা সিস্টেম দিয়ে আমরা প্রশাসন চালাচ্ছি। এই সরকারকে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের একটা বড়ো ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। এ যাত্রায় আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সত্যিই নতুন বাংলাদেশ চাই তাহলে গণতন্ত্রের সঙ্গে গণমাধ্যমকে বিচ্ছিন্ন করার কোনো সুযোগ দেখি না।
এসএ