ইসলামের অনুশাসনে শুক্রবার একটি বিশেষ দিন হিসেবে পরিচিত। এই দিনটিকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়।
শুক্রবারের বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা উপলব্ধি করার জন্য পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বিভিন্ন আমলের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল সূরা কাহাফ পাঠ করা। সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সহিহ হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত–
১. আলো ও নূরের প্রতীক: সূরা কাহাফ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট থেকে বিশেষ নূর বা আলো প্রাপ্তি হয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে, তার পায়ের নিচ থেকে আকাশ পর্যন্ত একটি আলো বিকিরণ করবে এবং পরবর্তী জুমা পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে” (মুসনাদ আহমদ, সহিহ ইবনে হিব্বান)।
২. ফিতনা থেকে রক্ষা: দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সূরা কাহাফ পাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ–এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে” (সহিহ মুসলিম)। অন্য এক হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ–এর শেষ দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে”।
৩. হেদায়েত ও আল্লাহর রহমত: সূরা কাহাফ পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েত লাভ হয়। এটি মুমিনের ঈমানকে দৃঢ় করে এবং বিভিন্ন দুনিয়াবী ফিতনা থেকে রক্ষা করে।
৪. ক্ষমা প্রাপ্তি: শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ করলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রাপ্তি হয়। এটি সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলির গুনাহ মাফ করানোর একটি মাধ্যম।সূরা কাহাফ পাঠের সময়শুক্রবারের সূর্যাস্ত থেকে পরবর্তী শুক্রবারের সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময়ে সূরা কাহাফ পড়া যেতে পারে। তবে, শুক্রবারের দিন (জুমার দিন) পড়া বেশি ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে, তার পায়ের নিচ থেকে আকাশ পর্যন্ত একটি আলো বিকিরণ করবে এবং পরবর্তী জুমা পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে” (মুসনাদ আহমদ, সহিহ ইবনে হিব্বান)।
শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়া ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটি শুধুমাত্র ফজিলত লাভের মাধ্যম নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি পথ। সুতরাং, মুসলমানদের উচিত নিয়মিতভাবে এই সূরাটি পাঠ করা এবং এর ফজিলত থেকে উপকৃত হওয়া। শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ে আমরা আল্লাহর কাছে বিশেষ রহমত ও বরকত প্রার্থনা করি এবং আমাদের জীবনকে নূরানী করে তুলি।
আল / দীপ্ত সংবাদ