সোমবার, অক্টোবর ৬, ২০২৫
সোমবার, অক্টোবর ৬, ২০২৫

শিশু অন্ধত্ব নিবারণে আরওপি সচেতনতা জোরদারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আহ্বান

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

শিশু অন্ধত্ব নিবারণে রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) বিষয়ে চিকিৎসক ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে স্ক্রিনিং জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) অনুষ্ঠিত “রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) স্ক্রিনিং ও রেফারেল সেবা” শীর্ষক দুই দিনের জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এ আহ্বান জানান।

বিএমইউএর নবজাতক বিভাগ ও চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৫০ জন চক্ষু, নবজাতক, শিশু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, আরওপি সম্পর্কে অনেক চিকিৎসক ও অভিভাবকই যথেষ্ট ধারণা রাখেন না, ফলে অনেক সময় রোগটি শনাক্ত ও চিকিৎসার সুযোগ হাতছাড়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করলেই শিশু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মত দেন তারা।

অনুষ্ঠানে বিএমইউএর প্রোভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রোভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. নাহরিন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, কমিউনিটি চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবিরসহ ইউনিসেফ ও অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “শিশুমৃত্যু কমেছে, কিন্তু আরওপিজনিত অন্ধত্ব নতুন উদ্বেগ হয়ে উঠছে। মাতৃস্বাস্থ্য ও নবজাতক সেবার মানোন্নয়নে বিনিয়োগ জরুরি।” তিনি নবজাতকের দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় গর্ভাবস্থায় মাতৃস্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ডা. নাহরিন আখতার বলেন, “আমাদের অবশ্যই অপরিণত জন্ম প্রতিরোধ করতে হবে, যা শিশু মৃত্যুহার ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।” তিনি আরও বলেন, “যখন কোনো অপরিণত শিশুর জন্ম হয়, তখন আমাদের শিশুটির বিশেষ যত্ন নিতে হবে।”

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ বলেন, “এই কর্মশালা অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আরওপি প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগে নতুন গতি আনবে। অরবিস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় রেফারেল কমানোর জন্য কাজ করছে। আমরা প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণে সব সময় চক্ষু সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে আছি।”

শিশু অন্ধত্ব নিবারণে আরওপি সচেতনতা জোরদারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আহ্বান

শিশু অন্ধত্ব নিবারণে রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) বিষয়ে চিকিৎসক ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে স্ক্রিনিং জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) অনুষ্ঠিত “রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) স্ক্রিনিং ও রেফারেল সেবা” শীর্ষক দুই দিনের জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এ আহ্বান জানান।

বিএমইউএর নবজাতক বিভাগ ও চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৫০ জন চক্ষু, নবজাতক, শিশু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, আরওপি সম্পর্কে অনেক চিকিৎসক ও অভিভাবকই যথেষ্ট ধারণা রাখেন না, ফলে অনেক সময় রোগটি শনাক্ত ও চিকিৎসার সুযোগ হাতছাড়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা ও দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করলেই শিশু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মত দেন তারা।

অনুষ্ঠানে বিএমইউএর প্রোভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রোভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. নাহরিন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, কমিউনিটি চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবিরসহ ইউনিসেফ ও অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “শিশুমৃত্যু কমেছে, কিন্তু আরওপিজনিত অন্ধত্ব নতুন উদ্বেগ হয়ে উঠছে। মাতৃস্বাস্থ্য ও নবজাতক সেবার মানোন্নয়নে বিনিয়োগ জরুরি।” তিনি নবজাতকের দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় গর্ভাবস্থায় মাতৃস্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ডা. নাহরিন আখতার বলেন, “আমাদের অবশ্যই অপরিণত জন্ম প্রতিরোধ করতে হবে, যা শিশু মৃত্যুহার ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য জটিলতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।” তিনি আরও বলেন, “যখন কোনো অপরিণত শিশুর জন্ম হয়, তখন আমাদের শিশুটির বিশেষ যত্ন নিতে হবে।”

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ বলেন, “এই কর্মশালা অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আরওপি প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগে নতুন গতি আনবে। অরবিস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় রেফারেল কমানোর জন্য কাজ করছে। আমরা প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণে সব সময় চক্ষু সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে আছি।”

কর্মশালার মূল বার্তা তুলে ধরে নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কোনো শিশু যেন অন্ধ না হয়।” তিনি সতর্ক করে বলেন, অপরিণত শিশুর জন্মের উচ্চ হার বাংলাদেশকে আরওপির জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সময়মতো পরীক্ষা, রেটক্যাম ব্যবহার ও অভিভাবক পরামর্শ আরওপি প্রতিরোধে অপরিহার্য। তিনি বলেন, অরবিস ও ইউনিসেফের মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা আরওপিজনিত অন্ধত্ব রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এছাড়া বিএমইউ’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী আরওপির কারণ, শ্রেণিবিন্যাস ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন। অরবিসের ডা. লুৎফুল হুসাইন আরওপি রেফারেল সার্ভিস ও সাইবারসাইট প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণের সুযোগ তুলে ধরেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার শিশু আরওপির কারণে অন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ছয় লাখ শিশু অপরিণতভাবে জন্ম নেয়, যাদের অনেকেই এই ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৩৫ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া বা ২ কেজির কম ওজনের নবজাতকের জন্মের ২০–৩০ দিনের মধ্যে চোখ পরীক্ষা করানো না হলে শিশুটি স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।

কর্মশালার মূল বার্তা তুলে ধরে নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কোনো শিশু যেন অন্ধ না হয়।” তিনি সতর্ক করে বলেন, অপরিণত শিশুর জন্মের উচ্চ হার বাংলাদেশকে আরওপির জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সময়মতো পরীক্ষা, রেটক্যাম ব্যবহার ও অভিভাবক পরামর্শ আরওপি প্রতিরোধে অপরিহার্য। তিনি বলেন, অরবিস ও ইউনিসেফের মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা আরওপিজনিত অন্ধত্ব রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এছাড়া বিএমইউ’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী আরওপির কারণ, শ্রেণিবিন্যাস ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন। অরবিসের ডা. লুৎফুল হুসাইন আরওপি রেফারেল সার্ভিস ও সাইবারসাইট প্ল্যাটফর্মে প্রশিক্ষণের সুযোগ তুলে ধরেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার শিশু আরওপির কারণে অন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ছয় লাখ শিশু অপরিণতভাবে জন্ম নেয়, যাদের অনেকেই এই ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৩৫ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া বা ২ কেজির কম ওজনের নবজাতকের জন্মের ২০–৩০ দিনের মধ্যে চোখ পরীক্ষা করানো না হলে শিশুটি স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More