মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫

শিশু অধিকারে বাস্তবায়িত ৯ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করল এডুকো

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

গত তিন বছরে (২০২৩–২০২৫) বাস্তবায়িত শিশু অধিকার সংক্রান্ত নয়টি প্রকল্প থেকে অর্জিত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে এডুকো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশান২ এর লেকশোর গ্র্যান্ডে আয়োজিত “বাস্তবায়িত শিশু অধিকার প্রকল্পগুলোর লার্নিংশেয়ারিং” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

এডুকো বাংলাদেশ ও তাদের বাস্তবায়নকারী অংশীদার পপি, ইএসডিও এবং নারী মৈত্রীর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিশু ও যুবকেন্দ্রিক শিক্ষা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন কার্যক্রমে প্রকল্পগুলো বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে।

উপস্থাপিত ফলাফলে দেখা যায়, ৯০ শতাংশ শিশু বাংলা পড়া ও বোঝার দক্ষতায় উন্নতি করেছে এবং ৯৬ শতাংশ শিশু মৌলিক অঙ্ক দক্ষতায় অগ্রগতি দেখিয়েছে। একই সঙ্গে স্কুলের জন্য প্রস্তুতি ও নিয়মিত উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ৬৫ শতাংশ কিশোরকিশোরী ও যুবক নিজেদের প্রকাশ ও কমিউনিটি কার্যক্রমে অংশগ্রহণে আত্মবিশ্বাসী হয়েছে। পাশাপাশি ৮২ শতাংশ শিশু ও যুবক বাড়ি, স্কুল ও কমিউনিটিতে নিরাপদ বোধ করছে এবং ৬১ শতাংশ শিশু সুরক্ষামূলক আচরণ ও উদ্বেগ রিপোর্ট করার বিষয়ে বেশি সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ (এনডিসি)। তিনি বলেন, “আমাদের শিশু ও যুবকদের সক্ষমতা গড়ে তুলতে একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করা প্রয়োজন, কারণ তারাই দেশের ভবিষ্যৎ। এই অনুষ্ঠান সেই চলমান প্রচেষ্টার প্রমাণ। প্রকল্পের সীমার বাইরে দীর্ঘমেয়াদি সুফল নিশ্চিত করতে সমষ্টিগত ও প্রভাবমুখী উদ্যোগ জরুরি।”

উপকারভোগী তানিয়া আক্তার বলেন, এডুকোর সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু বিবাহ প্রতিরোধ ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় রিপোর্ট ও আইনি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার বিষয়ে তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। অপরদিকে, যুব উন্নয়ন প্রকল্পের উপকারভোগী মো. আরাফাত সানি জানান, এই প্রকল্প তার আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বিশেষ অতিথি সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক সাইদুর রহমান খান বলেন, “এডুকো শিশু সুরক্ষায় সমন্বিত পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।”

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার, সিভিল সোসাইটি সদস্য, বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া প্রতিনিধি ও প্রকল্পের উপকারভোগীরা অংশ নেন। এছাড়া শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিভিন্ন জেলার সেরা যুব ও সিবিসিপিসি ক্লাবকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আনুমানিক ১৭০ জন অংশগ্রহণ করেন।

এডুকো বাংলাদেশ জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন থেকে প্রাপ্ত ব্যবহারিক সুপারিশ নীতিনির্ধারক, অনুশীলনকারী এবং শিশু ও যুব অধিকার নিয়ে কাজ করা অংশীজনদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More