শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ‘রুলস অফ লাভ‘ নাটকের প্রেস শো।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ও শনিবার (৪ জানুয়ারি) মেহেদি তানজিরের নির্দেশনায় বিকেলে ৩:৩০ ও সন্ধ্যায় ৬:৩০ মিনিটে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাটকের চারটি শো।
এলিফ শাফাক ও নাইজেল ওয়াটস্ এর উপন্যাস অবলম্বনে নাটক ‘দ্যা রুলস অব লাভ‘। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের ২০১৯–২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রযোজনাটি মঞ্চায়িত হবে।
নাটকটির নির্দেশনায় রয়েছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেহেদী তানজির। মূলত দুই সময়ের প্রেক্ষাপট, ভালোবাসা ও মুক্তি লাভের সন্ধি ঘটেছে এই নাটকে। রুমি ও শামসের বন্ধুত্ব–বিচ্ছেদ এবং এলা রুবিনস্টাইনের পরিবার ও ভালোবাসার গল্পকে কেন্দ্র করে তরান্বিত হয় নাট্যকাহিনী।
এলিফ শাফাকের ‘ভালবাসার ৪০ নিয়ম’ এবং নাইজেল ওয়াটস এর ‘দ্যা ওয়ে অব লাভ’ উপন্যাসকে জমিন হিসেবে গ্রহণ করে বিস্তর কর্ষণে এই নাটকের ফলন ফলেছে। এখানে ২০২৪ সালের এক ইহুদি নারীর সঙ্গে একজন সুফি সাধকের লেখা উপন্যাস রিভিউ কালে গড়ে ওঠা হৃদ্যতা সেই নারীর সুফিবাদের প্রতি ভালোবাসা জন্ম দেয়া এবং সুফি সাধকে পরিণত করে তোলার গল্প, পাশাপাশি ত্রয়োদশ শতাব্দীতে শামস–ই তাবরিজের সঙ্গে আধ্যাত্মিক মিলনের ফলে একজন শরিয়তপন্থী মাওলানা থেকে রুমির ভালবাসার কবি হয়ে ওঠার গল্প উপস্থাপিত হয়েছে। মূলত আত্মোপলব্ধি থেকে দুই সময় ও পরিস্থিতির মানুষের জীবনে আল্লাহর প্রেমে একাত্ব হওয়ার গল্প এটি।
নাটকটির নির্দেশক মো. মেহেদী তানজির বলেন, জীবনের নানান সংকট এবং অপ্রাপ্তির গ্লানি মানুষের আত্মমুক্তির পথ প্রতিনিয়ত অবরুদ্ধ করে ফেলে। মানুষের জন্য শুধুমাত্র পাকস্থলী পূর্ণ করাই মূখ্য নয়। সত্য পথের অনুসন্ধান একান্ত অপরিহার্য। সত্যের পথ অনুসন্ধানে আমাদের নাটকটি হাতিয়ার করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। মূলত সুফি দর্শনের মাধ্যমে জীবনের অর্থ খুঁজতে গিয়ে এলিফ শাফাকের ‘ভালবাসার ৪০ নিয়ম’ উপন্যাসটি গভীরভাবে নাড়া দেয়। পরবর্তীতে নাইজেল ওয়াটসের ‘দ্যা ওয়ে অব লাভ’ উপন্যাসটি রুমির জীবনের সূক্ষ্মতর উপস্থাপনে সহায়তা করেছে। দুইটি উপন্যাসের মেলবন্ধনে নিজেদের ঐকান্তিক প্রয়াস হয়ে উঠেছে এই নাটকটি।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মো. শাকিল আহমেদ, রাফেল আফ্রাদ, পল্লব বিশ্বাস, জাফরিন হক তরু, পরাগ বর্মন, শাহিন আলম, ফাতেমা তুজ যাহরা, ইশরাত জান্নাত, মনীষা সাহা, হাবিবা আক্তার পিংকি, সামিয়া সুলতানা চারু, সুমাইয়া খান কানিজ, লাবনী রানী পন্ডিত, আফিয়া জাহান প্রার্থনা, ফারহানা আমবেরীন লিওনা, তৃপ্তি রানী রায়, পিপাসা সাহা গৌরী ও প্রিয়াংকা রানী দাস। এছাড়াও স্ক্রিপ্ট এডিটিং এ হাবিবা আক্তার পিংকি ও জাফরিন হক তরু, পরিকল্পনা সহযোগী খাইরুল বাশার, পোস্টার ডিজাইনে মাসুম হাওলাদার, আলোক প্রক্ষেপণে মোল্লা আলভী মাহমুদ, ইব্রাহিম খলিল আপেল, দেবজয় চক্রবর্তী, সংগীত প্রয়োগে মো. হাসান মিয়া, নুর এ হাসানাত লিসা এবং প্রজেকশনে শাশ্বত গোলদার দায়িত্ব পালন করেন।