জাতীয় বিশ্ববদ্যিালয়ের ভাইস–চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, গবেষণা বাড়াতে দেশ–বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যৌথ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে। এর ফলে শিক্ষার গুণগত মান যেমন বাড়বে তেমনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রীরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চাকরি অথবা উদ্যোক্তা হ্ওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে। কিন্তু এই সুবিধা পেতে ছাত্র–ছাত্রীদের যেমন পড়াশুনায় মনোযোগী হতে হবে তেমনি শিক্ষকদের দলাদলি ভুলে শিক্ষাপ্রদানে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে টিএন্ডটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমকি, স্নাতক ও স্নাতক সম্মান প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা গ্রহণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে সিলেবাস সংস্কার করে স্নাতক সম্মানে ইংরেজি ও আইসিটি কোর্স বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চলছে শিক্ষক প্রশিক্ষণও।
এসময় প্রফেসর আমানুল্লাহ আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে শিক্ষাখাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করা হয়নি। নেয়া হয়নি সার্বজনীন ও সূদুর প্রসারী কোন শিক্ষানীতি। এর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে সবাইকে শামিল হতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস–চ্যান্সেলর বলেন, বিদ্যমান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা পেতে তরুণ–তরুণীদের কারিগরীভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাই এখনই এ বিষয়ে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। এজন্য টি এন্ড টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স চালু করার পরামর্শ এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
টিএন্ডটি কলেজের নবীন ছাত্র–ছাত্রীদের স্বাগত জানিয়ে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেন প্রফেসর আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, ভাল ফলাফলের মাধ্যমে কলেজের সুনাম বৃদ্ধি করা ও সর্বত্র শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, টিএন্ডটি কলেজের কল্যাণে সবসময় পাশে থাকবেন তিনি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কলেজটিকে সরকারি করার উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
টিএন্ডটি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. বেলায়েত হোছাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জাহিদুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জহুরুল ইসলাম, নবীনবরণ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান খান এবং টিএন্ডটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক প্রফেসর মো. নুর হোসেন।
এর আগে টিএন্ডটি কলেজের নবনির্মিত ৮তলা আইসিটি ভবন উদ্বোধন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।