‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫‘ উদযাপন উপলক্ষে তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে রূপালী ব্যাংক পিএলসি, লেডিস ব্রাঞ্চ, চট্টগ্রাম। রোববার (২৬ অক্টোবর) সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রূপালী ব্যাংক চট্টগ্রাম জোনাল অফিসের (পশ্চিম) উপমহাব্যবস্থাপক শেখ কামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংক চট্টগ্রাম ডিভিশনের উপমহাব্যবস্থাপক রূপক কুমার রক্ষিত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লেডিস ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মোছাম্মৎ রায়হান জান্নাত নাজমা আক্তার এবং ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং খাতের আধুনিক সুবিধাসমূহ এবং আর্থিক লেনদেনের সঠিক উপায় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনে রূপালী ব্যাংক তাদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা– যেমন শিক্ষার্থী হিসাব, সঞ্চয়ের গুরুত্ব, ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা প্রদান করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রূপালী ব্যাংক চট্টগ্রাম ডিভিশনের উপমহাব্যবস্থাপক রূপক কুমার রক্ষিত বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য তরুণ প্রজন্মের আর্থিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে রূপালী ব্যাংক বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যা দেশব্যাপী তরুণদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘বিকাশমান বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়া অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে শুধু আর্থিক শিক্ষা নয়, ভবিষ্যতের জন্য সঠিক অর্থনৈতিক অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হবে।‘
রূপালী ব্যাংক চট্টগ্রাম জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ কামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আর্থিক বিষয়ে শিক্ষিত করতে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করেছি। ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সঞ্চয় এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা শিখে, তারা নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবে। সবার মধ্যে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের আগ্রহ বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য।‘
লেডিস ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মোসাম্মৎ রায়হান জান্নাত নাজমা আক্তার বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা যদি আজ ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে, তাহলে আগামী দিনে তারা আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং সঞ্চয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।‘
প্রোগ্রাম শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা লক্ষ্য করা যায়। সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তাফরিহা সাবা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই কর্মসূচি আমাদের অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে আমরা নিজেদের আর্থিক বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারব বলে মনে করি।‘
অনুষ্ঠানের শেষাংশে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে অভিবাদন জানান চট্টগ্রাম জোনাল অফিসের (পশ্চিম) উপমহাব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, ‘আজকের এই প্রোগ্রাম শুধু শিক্ষামূলক নয়, এটি ভবিষ্যতে আর্থিক সুরক্ষা এবং সহনশীলতা গড়ার অন্যতম পদক্ষেপ।‘