শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি–জামায়াত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা–৪, ঢাকা–৫ এবং ঢাকা–১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। কোটা নিয়ে আন্দোলনে সংসদীয় এই আসনগুলোর কয়েকটি এলাকা যেমন যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সহিংসতা হয়।
বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমের উদ্দেশে বক্তব্য দেননি। তবে বৈঠকে তাঁর বক্তব্য দলের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিস্তার ঘটানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়কেরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে এ ধরনের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তারা এর দায়ভার নেয়নি। সমগ্র দেশবাসীর কাছে এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসের পেছনে বিএনপি–জামায়াতের রাজনৈতিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী জড়িত। এই সন্ত্রাসী বাহিনী রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের দলীয় স্থাপনায় এবং আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও সাধারণ জনগণের বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা উন্নয়ন–অগ্রগতির বিভিন্ন স্মারক যেমন মেট্রোরেল, ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়ক, মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবনসহ অসখ্য স্থানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছেন।
বিএনপি–জামায়াত অপশক্তির মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন–অগ্রগতির চলমান চাকাকে থামিয়ে দিতে বিএনপি–জামায়াত ও তাদের দোসরেরা সুপরিকল্পিতভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এই অপশক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, যা আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।’
যারা এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতা পূরণে কোনো অপশক্তিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
নিম্নবিত্ত, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য দলীয় নেতা–কর্মীদের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ