হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) কার্গো ভিলেজ এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের একাধিক ফ্লাইট গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে বিকল্প বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এবং বেশ কিছু ফ্লাইট ট্যাক্সিওয়েতে অপেক্ষমাণ রয়েছে।
বিমানবন্দর ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানবন্দর ৮ নম্বর গেটের কার্গো সেকশনে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টিরও বেশি ইউনিট কাজ করছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী ।
বিমানবন্দর কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত থাকার কারণে কয়েকটি ফ্লাইটের সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরগামী বাটিক এয়ারের (OD-163) এবং মুম্বাইগামী ইন্ডিগোর (6E-1116) ফ্লাইট দুটি উড্ডয়নের জন্য বর্তমানে ট্যাক্সিওয়েতে অপেক্ষমাণ রয়েছে।
এদিকে ঢাকাগামী বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। ব্যাংকক থেকে আসা ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকায় নামতে না পেরে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। একই কারণে শারজাহ থেকে ঢাকাগামী এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট এবং সৈয়দপুর থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটটিও চট্টগ্রামে ডাইভার্ট করে নামানো হয়েছে।
অন্যদিকে, দিল্লি থেকে ঢাকাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটটি অবতরণ করেছে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে।
এছাড়াও, হংকং থেকে ঢাকাগামী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের অনুমতি না পাওয়ায় বর্তমানে ঢাকার আকাশে চক্কর দিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রুটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউএস–বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট টেক–অফের পর পুনরায় চট্টগ্রামেই ফিরে গেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুনের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।