মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের সাত সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি–জামায়তের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সুধী ও শান্তি সমাবেশে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগ ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় সজল (২৬) নামের এক যুবলীগকর্মী ছুরিকাঘাতসহ আরেকজন আহত হয়েছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় সুধী ও শান্তি সমাবেশে এঘটনা ঘটে। এদিকে গুরুতর আহত সজলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। আরেক আহতরের নাম রুবেল (৩৫)। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে সেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সাতটি সহযোগি সংগঠনের ব্যানারে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলছিলো শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কে। বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ সমাবেশস্থলে পিছনে মারামারিতে জড়িয়ে পরে শহর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন ও পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের সমর্থকরা। এসসময় জাহিদ সমর্থক সজলের শরীরের বিভিস্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। আহত হয় রুবেল নামের আরেক কর্মী। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আহত সজলকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করে।
এদিকে এসময় বেশ কিছুক্ষণ ধরে সমাবেশ স্থলে কর্মীদের মাঝে মারামারি ও চেয়ার ছুড়াছুড়ি করে থাকে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, হট্টগোল মারামারি হয়েছে তবে কারা কি জন্য মারামারি করেছে তা নিশ্চিত না। আমি সমাবেশ স্থলের সামনে ছিলাম মারামারিদের দেখিনি। একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে জেনেছি।
এবিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদ হাসানকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসক রুহুল আমিন জানান, দুইজন আহত হাসপাতালে এসেছিল। এরমধ্যে সজলের অবস্থা গুরুত্ব ছিল। তার মাথায় পিঠে এবং পায়ে দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এখান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে। অপর আহত রুবেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, দুটি উপদলীয় অন্তকোন্দল ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় এখনো কোনপক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কায়সার হামিদ/ আল/ দীপ্ত সংবাদ