মিরপুর টেস্টে নামতেই ইতিহাস গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার গৌরব অর্জন করেন তিনি। আর সেই ঐতিহাসিক ম্যাচেই ব্যাট হাতে গড়ে তুললেন আরও এক অনন্য কীর্তি—শততম টেস্টে করলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্যক্তিগত ৯৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক। হামফ্রিসের করা প্রথম ওভারটিতে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। তবে পরের ওভারে পেসার জর্ডান নিলের করা তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছান মুশফিক। বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের মিস্টার ডিপেন্ডেবল। টেস্টে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরির এটি ১২তম ঘটনা। ব্যক্তিগত ১০৬ রানের সাজঘরে ফেরেন তিনি। উইকেটের অপরপ্রান্তে ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন লিটন দাস।
প্রথম দিন শেষ করেছিলেন তিনি অপরাজিত ৯৯ রানে। গ্যালারি থেকে ড্রেসিং রুম—সবখানেই ছিল অপেক্ষা, কখন আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই এক রান নিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা বিশ্বের একাদশ ক্রিকেটারের কাতারে নাম লেখান তিনি। সতীর্থদের অভিনন্দন আর গ্যালারির করতালিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তার উদযাপন।
এর আগে প্রথম দিনে দৃঢ় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৯২ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান যোগ করেছিলেন সাদমান ইসলাম (৩৫) ও মাহমুদুল হাসান জয় (৩৪)। এরপর চতুর্থ উইকেটে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের ১০৭ রানের দারুণ জুটি দলকে এগিয়ে নেয়। মুমিনুল বিদায় নেন ৬৩ রানে।
লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে আরও ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মুশফিক। প্রথম দিন শেষ করেন ৫ চারে ১৮৭ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত অবস্থায়, আর লিটন ছিলেন ৪৭ রানে।
অবশেষে দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে ইতিহাসে নিজের নাম আরও উজ্জ্বল করে তুললেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। দেশের ক্রিকেটের এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে তার সেঞ্চুরি শুধু ব্যক্তিগত অর্জনই নয়, বরং পুরো দলের মনোবলও আরও দৃঢ় করে তুলেছে।