মৌসুমের শুরুতে আশাবাদী ছিলেন কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও চকরিয়াসহ উপকূলের লবণচাষীরা। ভালো দাম পাচ্ছিলেন বলে হাসিমুখ ছিল সবার। সম্প্রতি পণ্যটির মণপ্রতি বাজারদর কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমেছে। এতে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষীরা।
তাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। উৎপাদন ব্যয় বিবেচনা করে বাজারদর নির্ধারণ এবং লবণ শিল্পকে বাঁচাতে আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কক্সবাজারে বর্তমানে প্রতি মণ লবণ বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২৬১ টাকায়, যা মৌসুমের শুরুতে ছিল ৪৮০-৫২০ টাকা। চাষীরা বলছেন, সব উপকরণের দাম ও উৎপাদন খরচ বাড়তি। এ পরিস্থিতিতে দাম অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় লবণ বিক্রি করে পুঁজিও উঠবে না। লবণচাষীদের দেয়া তথ্যমতে, একজন চাষীর প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে ব্যয় হয় ৩১৭ টাকা। লবণের দাম মণপ্রতি ২৬১ টাকায় নেমে আসায় ৫৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেছেন, লবণ আমদানি না করলে চাষীরা খেয়ে-পরে বাঁচতে পারবেন। না হলে মাঠের লবণ মাঠে পড়ে থাকবে।
তবে উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় লবণের দাম নিম্নমুখী বলে মনে করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। বিসিক কক্সবাজার শাখার উপমহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, ‘আমাদের চাষীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এফএস/দীপ্ত