এশিয়ান কাপ ২০২৬ বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ১৬১ নম্বরে থাকা সফরকারীরা পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও, বাংলাদেশ ফুটবলের বর্তমান উন্মাদনায় অনেকটাই এগিয়ে থেকেই মাঠে নামছে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।
গত মার্চে হামজার আগমনের পর থেকেই বাংলাদেশ ফুটবলের ভাবমূর্তিতে ঘটেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। এরপর একে একে ফাহমেদুল ও শমিত সোমদের অন্তর্ভুক্তিতে দর্শকদের মনে জমেছে নতুন আশার আলো। দর্শকদের উন্মাদনা এতটাই বেড়েছে যে, এক সময়ের ফাঁকা গ্যালারি আজ টিকিটের হাহাকারে রূপ নিয়েছে। আর এই হাজারো দর্শকের সমর্থন কাজে লাগাতে চাইবে জামালরা।
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের অন্যতম শক্তি হলো মাঝমাঠের কিছু অভিজ্ঞ ও ফর্মে থাকা খেলোয়াড়। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে শমিত সোম ও হামজা মাঝমাঠ থেকে ভালো সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম। অন্যদিকে, দলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ধারাবাহিক গোলদাতার অভাব, যেটি পূরণে ফাহমেদুল হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর এখন পর্যন্ত মাত্র তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে জিতেছে সিঙ্গাপুর, আর একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অভিষেক আসরেই প্রথমবার সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হয় দলটি, মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। কাজী মো. সালাউদ্দিনের গোলে লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। এরপর ২০০৭ ও ২০১৫ সালের ম্যাচে বাংলাদেশ ২–১ গোলে হারে।
এ ছাড়া নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও দুই ড্র নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ক্যাবরেরার দল। এর মধ্যে একটি ড্র ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। তবে তাদের তারকা ফুটবলার ইখসান ফন্দি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৩৯ ম্যাচে ২০ গোলের মালিক এই ২৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। মালদ্বীপের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও দুটি গোল এসেছে তার পা থেকে।
নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে গোল করার দিক থেকে দুই দলই সমানে সমান—প্রতিটি দলই ৪টি করে গোল করেছে। তাই র্যাঙ্কিংয়ে ২২ ধাপ এগিয়ে থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক লড়াই দেখার প্রত্যাশা করছেন ফুটভক্তরা।