রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ বার বার কথা বলেও তাদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাতারে এলডিসি সম্মেলন চলাকালে আল জাজিরাকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এমন অভিযোগ করেন। তিনি দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারের ওপর বিশ্বনেতাদের চাপ বাড়ানোর তাগিদ দেন।
জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতারে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কনফারেন্সের এক ফাঁকে আল–জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করছে। কিন্তু তা প্রত্যাবাসনের জন্য যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখাও বেশ কঠিন। এ অবস্থায় আমরা তাদের ভাসানচরে আলাদা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করেছি। থাকার জন্য তা ভালো। সেখানে আমরা তাদের থাকার ও তাদের শিশুদের জন্য চমৎকার সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয় তাদের গণহারে হত্যা ও ধর্ষণ করা হয়। তখন আমরা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াই। সীমান্ত খুলে দিই। সীমান্ত খুলে দিয়েই আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করিনি। আমরা তাদের আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এর পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলাম। আমরা তাদের বলেছি, রোহিঙ্গারা আপনাদের দেশের নাগরিক। তাই তাদের মিয়ানমারেই ফেরত যেতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাতে তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। তারপরও আমরা মনে করি রোহিঙ্গাদের তাদের ঘরে এবং দেশেই ফেরতে যাওয়া উচিত।’
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে রোহিঙ্গারা নিজেরা নিজেদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচারে মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থাকে খুব ভালো বলা যাবে না।’
আফ/দীপ্ত সংবাদ