প্রত্যাবর্তনের রূপকথা লেখা হলো ইউরোপের সফলতম দলটির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে, বর্ণহীন রিয়াল মাদ্রিদকে ২–১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫–১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ চার নিশ্চিত করে ইংলিশ ক্লাবটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফরাসি ক্লাব পিএসজির মুখোমুখি হবে গানাররা। অন্যদিকে, ফিরতি লেগে, জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ড্র করে শেষ চারে ইন্টার মিলান।
তিন গোলের ঘাটতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া ভাব কেবল এমবাপ্পে–ভিনিসিউসদের চোখেমুখেই যা একটু ফুটে ওঠে। উজ্জীবিত মনোভাব ও চমৎকার পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের আবারও পরাভূত করে সেমিতে পৌঁছে গেল ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল। ২০০৯ সালের পর প্রথমবার ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটির শেষ চারে পা রাখলো তারা। প্রথম লেগে তাদের জয় ছিল ৩–০ গোলে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ভিনিসিউস জুনিয়রের ক্রসে জাল খুঁজে পান কিলিয়ান এমবাপ্পে, তবে স্পষ্ট অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়। এরপরের চার মিনিটে দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে আর্সেনাল।
মিনিট গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রিয়ালের আক্রমণভাগে সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে ওঠে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও জৌলুশের ঘাটতি দেখা যায়। আর্সেনাল রক্ষণভাগে দৃঢ়তা দেখায়, ফলে প্রথমার্ধে ছয়টি শট নিয়েও একটিও লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হয় গেলবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি মহাকাব্য রচনার স্বপ্নে মাঠে নামলেও পুরো ম্যাচে ন্যূনতম সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। উল্টো বুকায়ো সাকার গোলে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে তারা। মুহূর্তের মধ্যে সেটা ভিনিসিউস জুনিয়র শোধও করেন। কিন্তু বিবর্ণতা ঝেড়ে ফেলতে পারেনি দলটি।
বরং যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়ালের ব্যর্থতার গল্পের ষোলকলা পূর্ণ হয়। মেরিনোর থ্রু বল ধরে জয়সূচক গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্টিনেলি। প্রতিপক্ষের গোল উৎসব দেখতে দেখতেই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
অবশেষে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেই ম্যাচের শেষ হাসি মার্টিনেলির। মেরিনোর থ্রু পাস ধরে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে রুখে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান। সান সিরোতে ২–২ গোলে ড্র করলেও প্রথম লেগের ২–১ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪–৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ চারে জায়গা করে নেয় ইন্টার।