রাশিয়া–ইউক্রেইন আর ইন্ডিয়া–বাংলাদেশ এর মধ্যে কিছু আশ্চর্য ধরণের মিল খুঁজে পেয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদপুত্র সোহেল তাজ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে তিনি এসব মিল তুলে ধরেন।
মিলগুলো হলো–
১. রাশিয়া– ইউক্রেইন এর মত ইন্ডিয়া–বাংলাদেশও প্রতিবেশী দেশ।
২. রাশিয়া একটি পরাশক্তি যে নিজের অঞ্চলে আধিপত্য/প্রভাব বিস্তার করতে চায়। ইন্ডিয়াও একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি যে তার নিজের অঞ্চলে আধিপত্য/প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
৩. রাশিয়া পুতিনের অনুগত ইয়ানুকোভিচকে ইউক্রেইনে অন্ধ ভাবে সমর্থন দেয়। একই ভাবে ইন্ডিয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে অন্ধ ভাবে সমর্থন দেয়।
৪. রাশিয়া ইউক্রেইনকে একটি “ক্লায়েন্ট স্টেট” বানিয়ে রাখার চেষ্টা করে। একইভাবে ইন্ডিয়াও বাংলাদেশকে একটি “ক্লায়েন্ট স্টেট” বানিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
৫. ২০১৪ সালে ইউক্রেইন্ এর জাতীয় নির্বাচনে ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করা হয়। অপরদিকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি এবং অনিয়মের অভিযোগ করা হয়।
৬. ২০১৪ সালে ইউক্রেইনে (রাশিয়া পন্থী) জনস্বার্থ বিরোধী কার্যক্রমের কারণে ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠে এবং “অরেঞ্জ রেভোলুশনের” মাধ্যমে তাকে উৎখাত করে। ইয়ানুকোভিচ পালিয়ে রাশিয়াতে চলে যান। ঠিক একইভাবে আমরা দেখি ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৬ বছর (ইন্ডিয়া পন্থী) জনস্বার্থ বিরোধী এবং নির্যাতন/নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশের ছাত্র–জনতা জেগে উঠে এবং “রেড রেভোলুশনের” মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে। শেখ হাসিনা পালিয়ে ইন্ডিয়াতে চলে যান।
৭. রাশিয়াতে তাদের মিডিয়া ইউক্রেইন সম্পর্কে নানা ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। তেমনি ইন্ডিয়াও তাদের মিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে।
৮. ২০১৪ সালে ইয়ানুকোভিচের পলায়নের কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেইন আক্রমণ করে ক্রাইমিয়া অঞ্চল দখল করে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পলায়নের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইন্ডিয়া তাদের বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারার মত ঘৃণ্য কাজ করে এবং পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ করে।
সুমাইয়া আক্তার/ দীপ্ত সংবাদ