রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথম বর্ষ ভর্তিতে পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মকর্তা–কর্মচারীরারা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে পোষ্যকোটা বিদ্যমান। সম্প্রতি এই কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার শামিল।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানান কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি পালনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
কর্মবিরতি চলাকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যতদিন আমাদের অধিকার পুনর্বহাল না হবে, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব। আগামীকাল (বুধবার) আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব।‘
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা ভর্তি পরীক্ষার শর্ত পূরণ করেই এখানে ভর্তি হয়। আমরা শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে চাই।‘
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘পোষ্যকোটা পুনর্বহালের দাবি নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে কেউ কোনো আলোচনা করেনি।‘
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্যকোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে দুই শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব পোষ্যকোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।