শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং গাউটের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইউরিক অ্যাসিডের কারণে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং থাইরয়েড হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খাবারে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন-
মসুর ডাল : শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে রাতের খাবারে মসুর ডাল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, যার কারণে শরীরে বেশি শক্তি তৈরি হয়। ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রাতে ডাল খাওয়া উচিত নয়।
মিষ্টি খাবার: আপনার যদি হাইপারইউরিসেমিয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে খাবারে বিশেষ করে রাতে মিষ্টি পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলুন। মিষ্টি খাবার গাউটের সমস্যা বাড়ায়।
মাংস খাওয়া : যাদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে তাদের রাতের খাবারে সব ধরনের লাল মাংস, কিমা করা মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের খাবারের কারণে ইউরিক অ্যাসিড দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
অ্যালকোহল পান : ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের রাতে অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অ্যালকোহল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আপনি যদি রাতে বেশি করে পানি পান করেন তবে এটি প্রস্রাবকে পাতলা করবে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করবে।