শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

রাণীনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে গভীর নলকূপের ঘর ভাংচুর

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

নওগাঁর রাণীনগরে ব্যক্তিমালিকানা গভীর নলকূপের ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে সেচ কাজ চরম ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী গভীর নলকূপের মালিক।

অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যাায়, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের মঙ্গলপাড়া গ্রামে ১৯৭৩ সালে সমবায় ভিত্তিক গভীর নলকূপ প্রদান করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তিতে ১৯৯০ সালে সরকারের জারি করা নোটিশের মাধ্যমে নলকূপটি ব্যক্তি মালিকানায় প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী স্থানীয় কৃষকসহ সকল বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশুনের মাধ্যমে নলকূপ নং সি২০৬, দাগ নং ১১২৮, জেএল নং ২০৫ নলকূপটি মঙ্গলপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল কাদের প্রাং ও আব্দুল মান্নান প্রাং জের ধরে একই গ্রামের মৃত আবুল হাসান মন্ডলের ছেলে মঞ্জুর রহমান ও তার ছেলে মেহেদী হাসান পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে সেচ প্রকল্পের ক্ষতি করার জন্য এবং সেচ প্রকল্পটি দখল করে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তারা জোরপূর্বক অবৈধভাবে সেচ প্রকল্পের মধ্যে মটর বসিয়ে জমিতে সেচ প্রদান করছে।

এ অবস্থায় গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) ভোররাতের দিকে চলাচলের রাস্তা বের করার অজুহাতে নলকূপের প্লাস্টিকের ঘর ভাংচুর করে। এতে করে নলকূপটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় নলকূপের মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ইরিবোরো মৌসুমে জমিতে মাঝে মধ্যে এখনো পানি সেচ দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে চরম ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় থাকায় নলকূপটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে ওই এলাকার ধান চাষের কার্যক্রম বর্তমানে চরম ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকরা।

ভুক্তভোগী নলকূপের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, নলকূপটি স্থাপনের সময় ওই এলাকায় জনবসতি ছিলো না। সবার সর্বসম্মতিক্রমেই কিন্তু সেই সময় ওই স্থানে নলকূপটি স্থাপন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে অপরিকল্পিত ভাবে আশেপাশে বসতি গড়ে তোলার কারণে দুইশতক জমির উপর স্থাপন করা নলকূপের ঘরের আশেপাশে জায়গাগুলো দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়। নলকূপের পাশ দিয়ে একটি ভ্যান গাড়ি চলাচলের রাস্তা রয়েছে কিন্তু ভ্যানের চেয়ে বড় গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারবে না। কিন্তু মঞ্জুর হোসেন বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে বড়গাড়ি চলাচলের জন্য নলকূপের ঘর ভেঙ্গে জায়গা চায়। এছাড়া নলকূপটি অবৈধ ভাবে দখল করার জন্য মঞ্জুর হোসেনসহ তার অনুসারীরা দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা চালিয়ে আসছে। কিন্তু দখল করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি এই সমস্যার একটি সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই যেন আগামীতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে আর কোন বাধা কিংবা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে না হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন মুঠোফোনে জানান, দীর্ঘদিন বলার পরও যখন নলকূপের মালিকরা সমস্যা সমাধান করছে না তখন ধান মাড়াই করার মেশিনটি মঞ্জুর রহমানের আঙ্গিনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নলকূপের ঘরের প্লাস্টিকের একটি দেয়াল খুলে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তবে ওই সময় নলকূপের মালিক পক্ষের কেউ ওই স্থানে উপস্থিত ছিলো না।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন এই বিষয়ে এককটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন সাপেক্ষে দ্রুত এককটি শান্তিপূর্ন সমাধান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যূথী/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More