নওগাঁর রাণীনগরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রশাসনের দ্বন্দ্বের কারণে মেয়াদ শেষ হলেও দ্রুতই আলোর মুখ দেখছে না সড়কের পাশে ষ্ট্রিট লাইট স্থাপনের প্রকল্পটি। যার কারণে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌছে দেয়ার যে ভিশন সরকার গ্রহণ করেছে তা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গত ২০২২–২৩ অর্থ বছরে উপজেলা পরিচলন ও উন্নয়ন প্রকল্পে (ইউজিডিপি) এর আওয়তায় নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলাধীন রাণীনগর–আত্রাই রোডে বেতগাড়ী বাজার, কুজাইল বাজার, কুবরাতলী বাজার হতে ত্রিমোহনী হাট হয়ে চকমনু হাসপাতাল সড়ক, রাণীনগর কালিগঞ্জ সড়ক এবং আবাদপুকুর বাজার ও সংলগ্ন সড়কে সোলার ষ্ট্রিট লাইট স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে ১শ’ ৪০টি ষ্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। আর এই কাজে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪৫লাখ টাকা।
ঢাকার সানারজি টেকনোলোজি লিমিটেড নামক কোম্পানিটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই কাজটি পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিলো চলতি বছরের ২৪ মার্চ পর্যন্ত। এরপর অনেক চরাই উথরাই পার হওয়ার পর গত ২০ মার্চের মধ্যে ৪ ইঞ্চির পাইপের পরিবর্তে ৩ ইঞ্চি পাইপ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মজুদ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
পরবর্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপকরণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখে অনেক মালামালই সিডিউল মোতাবেক নিয়ে আসা হয়নি যার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা এলজিইডি বিভাগ। পরবর্তিতে গত মার্চ মাসের ২৮তারিখে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত মালামাল সাইটে মজুদ করেছেন মর্মে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে লিখিত ভাবে জানান।
এছাড়া ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন মোতাবেক সোলার ষ্ট্রিট লাইট, সোলার প্যানেল, পোল ও অন্যান্য মালামাল জরুরী ভিত্তিতে সাইটে মজুদপূর্বক কাজটি করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এমডি গোলাম রাব্বানী মুঠোফোনে জানান, আমি সিডিউল মোতাবেক সকল মালামাল সরবরাহ করা শর্তেও উপজেলা প্রশাসন কেন আমাকে কাজ শুরু করতে দিচ্ছে না তা আমার জানার বাহিরে। তারা আমার মজুদ করা মালামালগুলো সরিয়ে নিতেও দিচ্ছে না। আমি কাজটি পেয়ে মহাবিপদে পড়েছি। কাজ না করেও অনেককে শেয়ার দিতে হবে এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করার কারণেও হয়তো বা তারা আমাকে প্রকল্পটি বাস্তবাায়ন করতে দিচ্ছে না। আমি এলজিইডির লিখিত চিঠির জবাব দিয়েছি।
এছাড়া আমি স্থানীয় সংসদ মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি। তিনি ঈদের পর সমস্যার সমাধান করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিডিউল মোতাবেক মালামাল সরবরাহ না করার কারণে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। সিডিউল মোতাবেক সকল মালামাল নিয়ে আসলেই কাজ শুরু করা হবে। আর যদি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিডিউল মোতাবেক নিয়মমাফিক কাজ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলাবাসীর দাবী সকল সমস্যা সমাধান করে দ্রুত সড়কগুলোকে আলোকিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হোক।
অনু/দীপ্ত সংবাদ