নওগাঁর রাণীনগরে পরীক্ষা মূলকভাবে ডাব বেগুন চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক আসলাম প্রামাণিক। প্রথমবার এই জাতের বেগুন চাষে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ভাগ্য ফিরেছে চাষী আসলামের। পরীক্ষামূলক চাষে ফলাফল খুব ভালো হওয়ায় আগামীতে বেগুনের এই জাত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।
এই বেগুনের আকার অনেকটা ডাবের মতো হওয়ায় প্রতিনিয়তই আসলামের ডাব বেগুনের খেত দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। দেশীয় উচ্চ ফলনশীল জাতের এই বেগুন দেখতে ডাবের মতো হওয়াই এই জাতের নাম দেয়া হয়েছে ডাব বেগুন। যশোর এলাকার কৃষকের কাছ থেকে এই জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বেগুনের এই নতুন জাত কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করার পর প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জাতের বেগুন গাছে পোকা-মাকড় বা রোগবালাই কম হয়। একটি বেগুন গাছ একটানা ৪মাস ফল দেয়। লালচে বেগুনি রঙের একেকটি বেগুনের ওজন হয় প্রায় ৭০০-৮০০ গ্রাম।
কৃষক আসলাম প্রামাণিক জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগীতায় এবারই প্রথম সোয়া ২ বিঘা জমিতে এই নতুন জাতের ডাব বেগুন চাষ করেছেন। যেখানে অন্যজাতের বেগুন চাষ করলে কীটনাশক ও সার দিতে হিমশিম খেতে হয় অথচ এই ডাব বেগুনের গাছে তেমন একটা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। উপজেলার অন্যান্য এলাকা থেকে তার যাব বেগুনের ফসল দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। আগামী বছর তারাও এই জাতের বেগুন চাষ করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এই বেগুনের এই জাত হাইব্রিড নয়। দেশীয় উচ্চফলনশীল ও উচ্চ মূল্যের হওয়াই ভালো বাজার মূল্যে পেয়ে অধিক লাভবান হয়েছে কৃষকরা। আগামীতে উপজেলার অন্য উৎসাহী কৃষকদের মঝে আমরা এই জাত ছড়িয়ে দিতে চাই।
এমি/দীপ্ত