রাজশাহীতে আজকে থেকে যাদের গুটি জাতের আম পরিপক্ক হয়েছে সে সকল আমচাষীরা আম পাড়তে পারবেন। এবার গতবারের তুলনায় আমের ফলন বেশি হওয়া দাম ভালো পাবে কৃষকরা বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা।
রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী নানা নামের নানা স্বাদের সুমিষ্ট রসালো আম গাছে গাছে ঝুলছে। এবার প্রথম থেকেই আমের মুকুল বেশি আসায় গতবারের তুলনায় আমের ফলন বেশি হয়েছে।
আজকে থেকে গুটি জাতের পরিপক্ক আম পাড়তে পারবেন চাষীরা এবং পর্যায়ক্রমে কিছু দিনের মধ্যে সকল ধরনের আম পাড়তে পারবেন চাষীরা।
গতকাল এ বিষয়ে সভা করে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আম পাড়ার সময় নির্ধারন করে দিয়েছেন, এ বছরের সব ধরনের গুটি জাতের আম নামানো যাবে আজ (৪ মে) থেকে। আর উন্নত জাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ ও রাণীপছন্দ ২০ মে এবং হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৫ মে থেকে। এছাড়া ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি ও ১০ জুন আম্রুপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম–৪ নামানো যাবে।
উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে অক্লান্ত চেষ্টা এখানকার আম চাষীদের। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে গুটিজাতের আম বাজারে আসবে বলে জানান চাষীরা।
আজকে থেকে যাদের গুটি জাতের আম পরিপক্ক হয়েছে তারা নামাতে পারবেন। তবে গুটি জাতের আম বাজারে আসতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। এবার রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর পরিমাণ জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। আর সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন আম বলে জানান এই সাবেক কর্মকর্তা।
গত বছর রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিলো এবং উৎপাদন হয়েছিলো ২ লাখ ৬ হাজার ১৫৬ মেট্রিক টন। রাজশাহীর উৎপাদিত আম স্থানীয় চাহিদা পুরন করে সারাদেশে ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।
আল/দীপ্ত সংবাদ