রাজশাহী বাঘা উপজেলায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। যা এক পর্যায়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে আহতদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন– বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী, বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু, আড়ানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিউর রহমান শফি। এদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাবলুসহ দুজনকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে বাঘা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্কাছ আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে মানববন্ধনের ডাক দেয় স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের পক্ষের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সদ্য উপজেলা নির্বাচনে ১০৬ ভোটে পরাজিত রোকনুজ্জামান রিন্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলু। উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এদিকে সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে বাঘা সাব রেজিস্টার অফিসের দলিক লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েভ উদ্দিন লাভলু সমর্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেক গ্রুপ। মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে পৌরসভার সামনে থেকে এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি অপর গ্রুপের মানববন্ধন অতিক্রমের সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে সংঘর্ষ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন উভয়পক্ষ। উপজেলা চেয়ারম্যান লাভলু গ্রুপের সমর্থকদের দাবি মানববন্ধন থেকে তাদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এমপি শাহরিয়ার গ্রুপের সমর্থকরা দাবি করেছেন মিছিল নিয়ে এসে তাদের মানববন্ধনে হামলা করা হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, দুটি কর্মসূচিতে পাল্টা–পাল্টি বক্তব্য ও শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এজে / আল / দীপ্ত সংবাদ