অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত বছর ৫ আগস্টের পর দেশে চাঁদাবাজি বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এবং রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া, রাজনৈতিক সরকার ছাড়া চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগে যেখানে এক টাকা চাঁদা নেওয়া হতো এখন দেড় টাকা, দুই টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৫ আগস্ট পর নানা পক্ষ চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে এবং আগে যারা ছিল, তারাও চাঁদাবাজির পেছনে আছে।
তিনি আরও বলেন, যারা চাঁদাবাজি করে তারাই আবার ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য। চাঁদাবাজির কারণে পণ্যমূল্য বাড়ছে। কিন্তু এটা থামানো আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ না। আর অন্তর্বর্তী সরকার একে ধরো, ওকে ধরো নীতিতে নেই।
ড. সালেহউদ্দিন জানান, ব্যবসায়ীদের বাধার কারণেই নিত্যপণ্যের বাজার দর কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামছে না। ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতাই বড় কারণ।
‘দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে‘ জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ হঠাৎ করেই চাল সরবরাহ বন্ধ করায় কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাজার যেন সরবরাহ সংকটে না পড়ে, সেজন্য মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম থেকে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে আমদানি করা হবে চাল।
তিনি আরও বলেন, যারা অর্থ পাচার করে তারা সব বুদ্ধি জানেন। পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে একটু সময় প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। হয়তো ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। বাকি অর্থের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
নতুন সরকার এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রাখবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘তারা রাখতে বাধ্য। কারণ, যে প্রক্রিয়া আমরা চালু করব, তা চালু না থাকলে টাকা ফেরত আনা যাবে না। ওরা যদি বসে থাকে, তাহলে অর্থ ফেরত আসবে না। যদি অর্থ আনতে হয়, তাহলে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে। এটাই আন্তর্জাতিক চর্চা।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইতিমধ্যে কিছু সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় হিসাব আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে, সেই তথ্যও আছে। এখন বাকি কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।’
এসএ