বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, একটি দেশের রাজনীতি যদি রুগ্ন হয়, তাহলে কিন্তু এর অর্থনীতিও রুগ্ন হতে বাধ্য।
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের আমলে আমরা দেখেছি কয়েকটি মেগাপ্রজেক্ট, উন্নয়নের নামে কীভাবে এসব মেগাপ্রজেক্ট করা হয়। এটা কিন্তু উন্নয়নের আসল চিত্র নয়! অর্থনীতি থেকে শুরু করে ধীরে–ধীরে সব কিছুই বেরিয়ে আসছে, অর্থাৎ বাংলাদেশই এর বড় প্রমাণ, একটি দেশের অর্থনীতি কিভাবে রুগ্ন হয়ে যায়।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিউশনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে ভার্চূয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্ততায় এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার গণআন্দোলনে ২ হাজার মানুষ হত্যা এবং প্রায় ৩০ হাজার লোককে নির্মমভাবে আহত করে স্বৈরাচার পলিয়েছে। আহতদের মধ্যে কারো অঙ্গহানি হয়েছে বা কারো চোখ নষ্ট হয়েছে কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, সংস্কারকাজ করতে গিয়ে অগ্রাধিকার’র সেটিংস যদি ভুল হয় তাহলে জনগণের কাছে সরকারের অদক্ষতা হিসেবেই সেটা বিবেচিত হবে। দ’ুদিন আগে আহতরা হাসপাতাল থেকে যেভাবে বের হয়ে এসেছেন, সেটা আমাদের বিবেকবান প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই লজ্জাজনক বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন অগ্রাধিকার লিস্টে নেই, থাকলেও কত নম্বরে ছিল?’
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনীয় নিত্য–পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় মানুষ কষ্টের মধ্যে রয়েছে, দুর্বিসহ অবস্থায় জীবন–যাপন করছে। কিন্তু এ বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় কত নম্বরে আছে তাও স্পষ্ট নয়।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার পালানোর পর একটি বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। মাফিয়া সরকারের তৈরি করা জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়। আবার তিন মাস পরে সরকারের সফলতা/ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক বা অন্যায্যও নয়। তবে সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা দেখতে পেলে জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না। জনগণের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করায় তারা আস্থা রাখতে চাচ্ছে, আবার চাচ্ছেও না।
আল/ দীপ্ত