হিজড়াদের কবলে পড়েননি এমন মানুষ মিলবে না ঢাকা শহরে। গণপরিবহন, মার্কেট, পার্ক, রাস্তা-ঘাট, এমনকি বাসাবাড়িতেও হানা দেয় তারা। দাবি অনুযায়ী টাকা না পেলে চলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি। হিজড়াদের অশোভোন আচরণ ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে অনেককে।
তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে আনেকে তাদের সহায়তা করেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো- রাজধানীর শতকরা ৯০ জন হিজড়াই ‘নকল’। এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল। শুধু রাস্তায় বা বাসায় চাঁদাবাজি নয়, অপহরণের মাধ্যমেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় নকল হিজড়াদের চক্র।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে নকল হিজড়া চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ । গ্রেফতাররা সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। অথচ তারাই হিজড়া সেজে রাস্তায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
তিনি আরও জানান, হিজড়া চক্রটার মূল হোতা কাজল ওরফে সজনি। কাজল তার মতো আরও ৭ থেকে ৮ জনকে নিয়ে তৈরি করেন নকল হিজড়া গ্রুপ। রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট থেকে শুরু করে যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করে তারা ।
শুধু তাই নয়, অপহরণের মাধ্যমেও সোহাগ নামের এক ব্যক্তিে কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এমনকি চাঁদাবাজির টাকা চড়া সুদে খাটানোরও প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ
আমরা প্রায় দেখি হিজড়াদের সবার কাছে গিয়ে টাকা তুলতে। তাদের কে বেশি টাকা চাইতে দেখা যায় যেখানে নারী-পুরুষ বা কম বয়সী ছেলে মেয়ে দেখে । টাকা দিতে না চাইলে তাদের বেশি উক্তত করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে থাকে তারা।
এছাড়া সাধারন মানুষরা ও তাদের দ্বারা হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকে তাদেরকে টাকা দিতে না চাইলে তারা এই তৈরি করে জনসম্মুখে।
অবিশ্বাস্য হলে ও সত্যি যে রজধানীতে নব্বই ভাগই নকল হিজড়া রয়েছে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এই কথাটি বলেন।