রাজধানী ঢাকায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালেও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এখন বৃষ্টি খানিকটা কমে এসেছে। রাজধানী বিভিন্ন সড়কে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। এতে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পথচারীরা।
পরিবার নিয়ে পূজা ছুটিতে গ্রামে যাবেন অঙ্গন পাল। শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে আছেন, অপেক্ষা গাবতলী পর্যন্ত যাওয়ার কোনো যানবাহন।
তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে পূজা ছুটি কাটাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলাম। কিন্তু এখন হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে আছি। নারী–শিশুদের নিয়ে বিপাকে আছি। এদিকে বৃষ্টিও থামছে না। ফলে নিজেরাও ভিজতেছি, ব্যাগে থাকা কাপড়ও ভিজে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতভর বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টি। বৃষ্টিস্নাত রাত রাজধানীবাসীকে স্বস্তির ঘুম এনে দিলেও ঘুম ভাঙতেই জলাবদ্ধতার সেই চিরচেনা দুর্ভোগ বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়।
এদিকে, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সারা দিনই বৃষ্টি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর।
তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় যে বৃষ্টি হয়েছে, সেটি দেশের সর্বোচ্চ। সম্ভবত এটি এ বছরে ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিও হয়েছে ঢাকাতেই।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে না। আসলে একটি গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কোনো অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় ১–১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে হালকা, ১১–১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে মাঝারি, ২৩–৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪–৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হিসেবে গণ্য করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এসএ