টানা অতিবৃষ্টিতে রাঙামাটি জেলায় ১৯৮ স্পটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন এক কিশোর।
২৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১৭শত ২৭ জন মানুষ। বিভিন্ন সড়কের ৯টি স্পটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যায় প্লাবিত জুরাছড়ি ও বরকল উপজেলার নিন্মাঞ্চল।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের সুবলং পয়েন্টে প্রচুর স্রোত থাকায় নৌকা ডুবে সুমেন চাকমা (১৯) নামের এক কিশোর নিখোঁজ রয়েছেন। সুমেন চাকমার খোঁজে দুপুর ১টা থেকে ডুবুরী দল কাজ শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই যুবক নৌকা পারাপার করার সময় হ্রদের প্রবল ঢেউয়ে নৌকা উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে সুমেন চাকমা হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। তবে অপরজন তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
বরকল নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন জানান, নৌকা ডুবির বিষয়টা জানার পরপরই নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযানে ব্যাগ পেতে হচ্ছে।
সোমবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চচলাচল শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে। তবে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নামা অব্যহত থাকায় পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। আকস্মিক বন্যায় ১২৪টি ঘর ও ৪টি বাজার তলিয়ে গেছে এবং বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
চলমান অতিবৃষ্টিতে জেলা সদরসহ কাপ্তাই, নানিয়াচর, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী, কাউখালি সড়ক ও আশাপাশের এলাকায় ১৯৭টি স্পটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সড়কে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি বুড়িঘাট সড়কে ভাড়ি যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রাঙামাটি চট্টগ্রাম, রাঙামাটি খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি বান্দরবান সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক বিভাগে ৪টি টিম কাজ করছে।
রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, আমরা সড়কে পাহাড় ধসে যেসব স্থানে মাটি ও গাছ পড়েছে তা দ্রুত সরাতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সওজের আওতাধীন প্রধান সড়কগুলো কোনটি বন্ধ নেই।
এসএ/দীপ্ত নিউজ